স্বদেশ বাংলা ডেস্ক:
গুণ্ডা মাস্তান থেকে চেয়ারম্যান হয়েছি:যে মাহিফল করছে তাদের খু’ন করবো দেহ খুজে পাবিনা: লাকসামের চেয়ারম্যান।
গতকালকে কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলায় গোবিন্দপুর ইউনিয়নের
নারায়াণপুর নামক গ্রামের একটি মাহফিলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন শামীমের নেতৃত্বে তার গু’ণ্ডাবাহিনী আমার গাড়ি ভাংচুর করে।ওয়াজ মাহফিলে আমার আলোচনা চলাকালীন স্ব’ঘোষিত এই গুণ্ডা চেয়ারম্যান তার স্ব’সস্ত্র গুন্ডাবাহিনী নিয়ে
মাহফিলস্থলে এসে মাহফিলে গণ্ডগোল/ঝামেলা সৃষ্টি করে।এরপর অকথ্য ভাষায় মাহফিলে আগত শ্রোতাগণকে গালিগালাজ শুরু করে এছারাও আয়োজকগণকে হু’মকি দিয়ে তিনি বলতে থাকেঃ- আমি গুণ্ডা-
মাস্তান থেকে এই চেয়ারম্যান হয়ছি।যে মাহফিল আয়োজন করেছ আমি তাদেরকে খু’ন করবো,শুধু তাই নয় তোমরা কারো লা’শো খুঁজে পাবে না।তাদের ঘরবাড়ি মরুভূমি বানিয়ে দিবো আমি।মায়ের পেটে থাকলে সেখান থেকে বের করে জবাই
করবো–এরকম অকথ্য এবং অশালীন কথাবার্তা বলতে থাকে চেয়ারম্যান। উপস্থিত হাজার হাজার জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে পরিবেশ ঘোলাটে হওয়ার আশঙ্কায় আমি সাথে সাথে মোনাজাত দিয়ে ওয়াজ মাহফিল শেষ করি।এরপর আমি স্টেইজ থেকে নেমে নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশকে ফোন করে
পুলিশ প্রটেকশন চাই। এরই মধ্যে স্ব’ঘোষিত ঐ গুণ্ডা চেয়ারম্যান তার লালিত পালিত গু’ণ্ডাদেরকে নিয়ে এলাকায় বিভিন্ন গাড়ি পুড়িয়ে দেয়াসহ মাহফিলে আগত বহু লোককে আ’ক্রমণ করে।পুলিশ আসতে আসতে তারা আমার গাড়িও ভাংচুর
করেছে। অবশেষে পুলিশে ভাইয়েরা আমাকে নিরাপত্তা দিয়ে আমার লোকজনসহ আমাকে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেয়।এমন জানোয়াররুপী লোকেরা জনপ্রতিনিধি হয় কী ভাবে?এদেরকে কারা লালন পালন করে?এরা মাফিয়াতন্ত্র ক্বায়েম করে জনগণের
সেবক না হয়ে শো’ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।আমি,আলহামদুলিল্লাহ, আমার ড্রাইভার এবং আমার সফরসঙ্গীগণ নিরাপদ ও ভালো আছি।দেশ-বিদেশের যারা আমাদের খোজ খবর নিয়েছেন তাদের সকলের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি ও সকলের কাছে দোয়া কামনা করছি।আমাকে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য পুলিশ ভাইদেরকে
আমি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।আমি উত্তম সবর অবলম্বন করলাম এবং আল্লাহর তায়ালার কাছে এসব গু’ণ্ডা/মাস্তানদের উত্তম বিচার কামনা করছি,নিশ্চয়ই তিনি উত্তম
ফায়সালাকারী।তিনিই উত্তম ফয়সালা দিবেন।
হাসিবুর রহমান হুজুরের পেইজ থেকে নেয়া: