নিজস্ব প্রতিনিধি: মো শাহজাহান ইসলাম লেলিন:
অতি শিঘ্রই অপরাধীদের ফাসি চায় শিক্ষার্থী আয়েশার পরিবার।জানা যায়- গত বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে পাওনা টাকা চাওয়া নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝগড়া হলে ছোট ভাই মোঃ শেখ ফরিদ তার বড়
ভাই শেখ আজমকে কুপিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় বড় ভাইকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়।মোংলা থানার উপ-পরিদর্শক (সেকেন্ড অফিসার) জাহাঙ্গীর আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ
ঘটনায় ছোট ভাই শেখ ফরিদকে আসামি করে একটি হ’ত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। নিহতের ছেলে বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এবং পতক্ষ্যদর্শীরা জানায়- মোংলার স্থায়ী বন্দরের দিগরাজ বাজারের
শেখ আজম (৫২) একজন মুদি ব্যবসায়ী। তার দোকান থেকে আপন ছোট ভাই মোঃ শেখ ফরিদ বাকীতে মালামাল ক্রয় করতো। দোকান থেকে বাকী নেয়ায় বেশ কিছু টাকা পাওনা হয়। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে
৯টার বাসায় গিয়ে ছোট ভাইয়ের কাছে দোকানের পাওনা টাকা চায় বড় ভাই। এসময় দুই ভাইয়ের মধ্যে বাক-বিতাণ্ডা শুরু হলে এতে জড়িয়ে পড়ে উভয় পরিবারের লোকজনও। এক পর্যায়ে ছোট ভাই শেখ
ফরিদ ও তার ছেলে ইয়াসিন তাদের ঘরে থাকা দা ও শাবল দিয়ে শেখ আজমের মাথায় আঘাত করে। এতে বড় ভাই শেখ আজমের মাথার বাঁ পাশে ও পায়ে মা’রাত্মক জখম হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে
রাতেই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে ঢাকায় নেয়ার পথে তার মৃ’ত্যু
হয়। নি’হত শেখ আজম দ্বিগরাজ এলাকার মৃ’ত শেখ বেলায়েত হোসেনের বড় ছেলে।
হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে মোংলা থানার ওসি (তদন্ত) তুহিন মন্ডল জানান- এ ঘটনায় নিহত আজম শেখের ছেলে সোহেল রানা
বাদী হয়ে আপন ছোট চাচা শেখ ফরিদ (৪৫) ও চাচাতো ভাই (ফরিদের ছেলে) শেখ ইয়াসিনসহ (২৫) অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলা নং-১৫।
তবে ঘটনার পরপরই আসামিরা পলাতক থাকায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা তুহিন মন্ডল।