বিজয়ের বাংলা:
চলতি মাসের ১৫ অক্টোবর তুরস্কের বিরোধী দলীয় নেতা সোমবার (১৮ অক্টোবর)-কে দিন নির্ধারিত করে সরকার বিরোধী আ’ন্দোলন শুরুর ঘোষণা দেন। সেসময় তিনি বলেন, সোমবার থেকে সরকারের পক্ষে যে আমলারা কাজ করবে তাদেরকে নজরে রাখা হবে। তিনি ক্ষমতায়
আসলে তাদেরকে কোনভাবে ছাড় দিবেন না। এটাকে আমলাদের বিরুদ্ধে সরাসরি হু’মকি হিসেবে দেখছে তুরস্কের রজব তাইয়েব এরদোগান সরকার। এদিকে তুরস্কের বিরোধী দলীয় নেতার সরকারবিরোধী ঘোষিত আন্দোলনের নির্ধারিত সময়ের একদিন পর মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর)
দেশটিতে নিযুক্ত ১০ টি পশ্চিমা দেশের রাষ্ট্রদূতরা আমেরিকার নেতৃত্বে এক বিবৃতি প্রকাশ করে। বিবৃতিতে ২০১৩ সালের গেযি পার্ক আন্দোলন ও ২০১৬ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পিছনে গুরুত্বপূর্ণ সিভিল ব্যক্তি হিসেবে তুর্কি সরকারের
চিহ্নিত ওসমান কাভালা নামক এক ব্যবসায়ীর এরেস্টের বিরুদ্ধে যৌথ বিবৃতি দিয়ে সরকারকে হুমকি দেয় পশ্চিমা দেশগুলো। যদিও তিনি ২০১৭ সালের অ’ক্টোবর থেকে বন্দি রয়েছেন। এরদোগান সরকার চিহ্নিত এই ব্যক্তিকে আমেরিকার ইহুদী ধনকুবের জর্জ সরোস-এর তুরস্কের গোপন প্রতিনিধি হিসেবে দেখছে। সরোসের ওপেন
সোসাইটি ফাউন্ডেশনের তুরস্কের প্রধান এই কাভালা। এই ফাউন্ডেশনটি তুরস্কে অনেক তথাকথিত সংখ্যালঘু এবং LGTB সংগঠনকে প্রচুর পরিমাণ আর্থিক সহয়তা দিয়েছে। তুরস্কের বিরোধী দলীয় নেতার স’রকারবিরোধী আন্দোলনের সময়ে চিহ্নিত ওই সিভিল ব্যক্তির মুক্তির পক্ষে
আমেরিকার নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা দেশগুলোর হু’মকির প্রতিক্রিয়ায় এরদোগান এই সব রাষ্ট্রদূতদের বহিষ্কারের হুমকি দিয়েছেন। শনিবার (২০ অক্টোবর) ১০ দেশের রা’ষ্ট্রদূতকে ‘ব্যক্তিত্বহীন’ ঘোষণার নির্দেশ দেন তিনি। এরদোগান বলেন, তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এসে এসব দেশের রাষ্ট্রদূতরা আদেশ দেওয়ার সাহস করতে পারেন
না। তাদের অবশ্যই অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা উচিত। আমি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্র’য়োজনীয় আদেশ দিয়েছি ও বলেছি কী করতে হবে। শিগগিরই তা সমাধান করা হবে। যে ১০টি দেশের রাষ্ট্রদূতদের বহিষ্কারের হুমকি দিয়েছেন সেদেশগুলো হলো- আমেরিকা, কানাডা, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে এবং সুইডেন।