বিজয়ের বাংলা: মোংলা কাস্টম হাউজে ৫৬ কোটি টাকার গাড়ি ও বাণিজ্যিক পণ্য নিলামে পে-অর্ডার জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ঢাকার নবীনগর এলাকার সিদ্দিক ট্রেডিং, ধানমন্ডি এলাকার মোনা লিসা আক্তার সুমা ও বংশাল এলাকার বশির আহম্মেদ নামে তিনটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ৭টি পে-অর্ডারে ৩৬ লাখ ৪০ হাজার টাকার জাল পে-অর্ডার জমা দেওয়া হয়।
বিষয়টি ধরা পড়ায় প্রতিষ্ঠান তিনটির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এরপর দুই মাস পেরিয়ে গেলেও অভিযোগ মামলায় রূপ নেয়নি।
জানা যায়, নিলামে তিনটি প্রতিষ্ঠানই সর্বোচ্চ দরদাতা হিসাবে বিবেচিত হয়। নিলাম পাওয়া তিন প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ার আগে দরপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া পে-অর্ডারগুলো যাচাই-বাছাই করতে গেলে ৩৬ লাখ ৪০ হাজার টাকার ৭টি পে-অর্ডারকে অফিশিয়ালি জাল বলে জানিয়ে দেন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
এ ঘটনার পর ২২ আগস্ট মোংলা কাস্টম হাউজের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা রুম্মআন আলী বাদী হয়ে জাহিদ সিদ্দিক রেজা, মোনা লিসা আক্তার সুমা ও বশির আহম্মেদের বিরুদ্ধে মোংলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, কাস্টমস কর্তৃপক্ষের অভিযোগটি ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় সংশোধন করে দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। এজাহারের সংশোধিত কপি পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মামলার এজাহারে বলা হয়, চলতি বছরের ১৩ জুন ৪০টি লটের অনুকূলে নিলাম দরপত্র আহ্বান করে মোংলা কাস্টম হাউজ।