রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার সাইনবোর্ড এলাকা থেকে চারটি গরুসহ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের চর-দৌলতদিয়া গ্রামের সালাম শেখের দুই ছেলে জামাল শেখ ও হারুন শেখকে আটক করেছিল পুলিশ। গরু চুরির অভিযুক্ত দুইজনকে গত বুধবার আদালতে পাঠায় পুলিশ।
আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। সেই বুধবার (১ ডিসেম্বর) থেকে গরুগুলোর দেখভাল করছেন থানা পুলিশের সদস্যরা। সেদিন থেকে গরুর মালিককে খোঁজার জন্য বিভিন্ন স্থানে বার্তা পাঠিয়েছে পুলিশ।শনিবার সকালে গোয়ালন্দ ঘাট থানা প্রাঙ্গণে গিয়ে
দেখা যায়, পুলিশ কনস্টেবল নুরুজ্জামান মিয়া পুলিশের গ্যারেজ থেকে গরুগুলো বাইরে আনছেন। অন্যদিকে গরুর খাবার প্রস্তুত করছেন পুলিশের আরেক সদস্য রকিবুল ইসলাম। খোলা আকাশের নিচে ক্ষতি হবে বলে থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল তায়েবীরের নির্দেশনায় গরুগুলোকে
গাড়ি রাখার গ্যারেজে রাখা হয়। থানার প্রাঙ্গণে দিনের বেলায় খোলা আকাশের নিয়ে খড়, ভুসি খাওয়াচ্ছেন খোদ পুলিশের সদস্যরা।অন্য একটি মামলায় থানায় জিডি করতে এসেছিলেন মো. মতিয়ার শিকদার। তিনি এ অবস্থা দেখে বলেন, পুলিশ সদস্যরা গুরুর জন্য যা করছেন সেটা
প্রশংসার দাবি রাখে। গরুগুলোকে পরম যত্নে লালন-পালন করছেন তারা।গরু লালন-পালন করা পুলিশ সদস্য মো. নুরুজ্জামান বলেন, গ্রাম থেকে উঠে এসে পুলিশের চাকরি শুরু করেছি। গত তিনদিন ধরে স্যারের নির্দেশে গরুগুলোকে লালন-পালন করছি। পুলিশি সেবার বাইরে
গরুগুলো লালন-পালন করতে সত্যি ভালো লাগছে।গোয়ালন্দ থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল তায়েবীর বলেন, আমরা গরুর প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করতে চাই। সেই তৎপরতা অব্যাহত। যেহেতু গরুগুলো জব্দ করা রয়েছে। সেক্ষেত্রে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশনা ছাড়া আমরা কোনো
সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারছি না। রোববার বিজ্ঞ আদালতে গুরুর ব্যাপারে নির্দেশনা চাওয়ার পাশাপাশি চোরদের সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে।রাজবাড়ীর এসপি এম এম শাকিলুজ্জামান বলেন, গরুগুলোকে সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে প্রকৃত মালিকের কাছে ফিরে দেওয়ার লক্ষ্যে পুলিশ কাজ করছে। গরুগুলো উদ্ধারের মাধ্যমে পুলিশ জনগণের অতন্দ্র প্রহরী সেটি প্রমাণ করে।