1. atikurrahman0.ar@gmail.com : বিজয়ের বাংলা : বিজয়ের বাংলা
  2. Mijankhan298@gmail.com : Bijoyerbangla News : Bijoyerbangla News
  3. rabbimollik2002@gmail.com : Bijoyerbangla News : Bijoyerbangla News
  4. msthoney406@gmail.com : বিজয়ের বাংলা : বিজয়ের বাংলা
  5. abur9060@gmail.com : বিজয়ের বাংলা : বিজয়ের বাংলা
হৃদয়বিদারক ঘটনাঃ দশ লাখ টাকা না দেওয়ায় সন্তানের কঙ্কাল পেল পরিবার! - ২৪ ঘন্টাই খবর

হৃদয়বিদারক ঘটনাঃ দশ লাখ টাকা না দেওয়ায় সন্তানের কঙ্কাল পেল পরিবার!

  • আপডেট করা হয়েছে: রবিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৮৩০ বার পঠিত

নরসিংদীর বৃহত্তর রায়পুরা উপজেলায় অপহরণের পর ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে না পারায় পাঁচদিন পর সন্তানের কঙ্কাল পেল পরিবার।শুক্রবার সকালে বাড়ির পাশ থেকে আট বছরের শিশু ইয়ামিনের কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে অপহরণকারীরা

তাকে হত্যা করেছে বলে পরিবারের অভিযোগ।এর আগে, গত ২৮ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিল শিশু ইয়ামিন। সে ঐ উপজেলার উত্তর বাখরনগর ইউনিয়নের বাখরনগর গ্রামের জামাল মিয়ার ছেলে।পুলিশ জানায়, নিখোঁজের পরদিন থেকে বিভিন্ন সময় মোবাইলে কল দিয়ে

শিশুটির পরিবারের কাছে মুক্তিপণ চায় অপহরণকারীরা। ঐ অবস্থায় পরিবারটি থানায় অভিযোগ করে। এরপর থেকেই শিশুটিকে উদ্ধারে কাজ শুরু করে পুলিশ। শুক্রবার বাখরনগর গ্রামের মোতালেব মিয়ার বাড়ির পেছনে শিশু ইয়ামিনের কঙ্কাল পাওয়া যায়।নিহত শিশুর মা শামসুন্নাহার

বেগম বলেন, আমার অবুঝ শিশু সন্তানকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমার বুক খালি হয়ে গেছে। ইয়ামিন আর কোনোদিন মা বলে ডাকবে না। আমি আর সহ্য করতে পারছি না। ছেলেকে আমার কাছে ফিরিয়ে দেন।তিনি আরো বলেন, অপহরণকারীরা ১০ লাখ টাকা দাবি

করলেও আমি বলেছিলাম পাঁচ লাখ দেব। এতে অপহরণকারীরাও রাজি হয়। পরে আমি এক লাখ টাকা বিকাশের মাধ্যমে দিয়েছিলাম। এরপরও তারা আমার ছেলেকে হত্যা করল।শিশু ইয়ামিনের চাচা মাহমুদুল হাসান জানান, ২৮ নভেম্বর দুপুরে ভোট দিতে যান শামসুন্নাহার। এরপর বাড়ি

ফিরে আর সন্তানকে দেখেননি। এলাকায় মাইকিং করেও মেলেনি খোঁজ। এরপরই অপহরণকারীরা শামসুন্নাহারের মোবাইলে কল দিয়ে জানায়- মাইকিং করে কোনো লাভ হবে না, আপনার ছেলেকে আমরা তুলে এনেছি। এক লাখ টাকা দিলে ছেড়ে দেব।তিনি আরো জানান, পরদিন সকালে তারা আবার কল দিয়ে মুক্তিপণ হিসেবে ১০ লাখ টাকা দাবি করে। ঐ সময় শামসুন্নাহার অপহরণকারীদের কথার সত্যতা জানতে চাইলে তারা জানায়- সন্ধ্যার পর বাড়ির দুই কিলোমিটার দূরে একটি ব্রিজে ইয়ামিনের পায়ের জুতা ফেলে রাখা হবে। কথামতো জুতা ফেলে যায়

অপহরণকারীরা। পরদিন টাকা নিয়ে রায়পুরা রেলগেটে যেতে বলা হয়। তাদের কথামতো সেখানে গেলে অনেকক্ষণ অপেক্ষার পর জানায়- লাইন ক্লিয়ার নেই, পরে জানানো হবে। এরপর নরসিংদীর আরশিনগর এলাকায় যেতে বলা হলে সেখানেও লাইন ক্লিয়ার নেই বলে জানায় এবং টাকাসহ ট্রেনে উঠতে বলে।মাহমুদুল হাসান জানান, ছেলেকে ফিরে পাওয়ার আশায় শামসুন্নাহার ট্রেনে উঠে পড়েন। কিছুদূর যাওয়ার পর টাকার

ব্যাগ ট্রেন থেকে ছুড়ে ফেলে দিতে বলে অপহরণকারীরা। শামসুন্নাহারের কাছে খটকা লাগলে তিনি তা না করে ঘোড়াশাল রেলস্টেশনে নেমে বাড়ি ফিরে যান এবং বিষয়টি পুলিশকে জানান। পরদিন কল দিয়ে ইয়ামিনকে ফেরত নেয়ার ইচ্ছা আছে কিনা জানতে চায় অপহরণকারীরা। পরে টাকা নিয়ে বিকাশ এজেন্টের কাছে যেতে বলে। তাদের কথামতো, বিকাশ এজেন্টের কাছে গেলে ওই দোকানের ছবি দেখতে চায় তারা।

দোকানের ছবি পাঠানোর পর একটি নম্বর দিয়ে ১০ হাজার টাকা পাঠাতে বলে এবং বাকি টাকা পরে নেয়ার ব্যবস্থা করবে বলে জানায়। ঐ রাতেই ইয়ামিনের লাশ বাড়ির পাশে ফেলে গেছে অপহরণকারীরা।রায়পুরা মডেল থানার ওসি আজিজুর রহমান জানান, অপহরণকারীরা মুক্তিপণ হিসেবে ১০ লাখ টাকা দাবি করে আসছিল। এর আগে শিশুটির মা একটি অভিযোগও দিয়েছেন। তিনি তিনজনকে সন্দেহ করেন। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না। অভিযোগ যাচাই ও জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর পড়ুন
© All rights reserved 2022
Site Developed By Bijoyerbangla.com