বিজয়ের বাংলা: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ভবানীপুরে উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় পদ্মপুকুরের উত্তম উদ্যানে হিন্দিভাষী ভোটারদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
ভবানীপুরের ষোল আনা মসজিদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যাওয়া নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন বিজেপির আইটি সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা তথা রাজ্য পার্টির কো–অর্ডিনেটর অমিত মালব্য।
বৃহস্পতিবার ওই বৈঠকে বিজেপির কটাক্ষের জবাবে মমতা বলেন, ‘আমি মসজিদে গিয়েছিলাম বলে আমাকে কটাক্ষ করছে বিজেপি। আমি মন্দিরেও গিয়েছি। গুরুদ্বারেও গিয়েছিলাম। বিজেপির এই ধরনের আচরণ পছন্দ করি না। গুজরাতি হোক, মারোয়াড়ি হোক কারও খারাপ চাই না। আমি আপনাদের রক্ষা করব। পুজোর মতো ছটেও ছুটি থাকে। আমি মায়াপুরে জমি দিয়েছি। যার যা ধর্ম তাই করুন।’
গুরুদ্বারে গিয়ে মমতা বলেছিলেন, কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করেন। পাঞ্জাব যাবার ইচ্ছে প্রকাশও করেছিলেন।
সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দিয়ে মমতা বলেন, ‘গুজরাত হোক, রাজস্থান হোক, উত্তরপ্রদেশ হোক বা বাংলা হোক, প্রত্যেকেরই পৃথক পৃথক সংস্কৃতি আছে। আমি রাজস্থানে গেলে যেমন আজমেঢ় শরিফে যাব। তেমনই পুষ্করেও যাই। নন্দীগ্রামকে পাকিস্তান বলেছিল।
ভবানীপুরকেও পাকিস্তান বলছে। এটা আমার দেশ, আমার মাতৃভূমি। আমি আমার দেশ, মাতৃভূমিকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি। বাংলাই হিন্দুস্তানকে রক্ষা করবে। হিন্দুস্তান কখনও পাকিস্তান হবে না। আপনারা শান্তিতে থাকুন। আপনারা ভালো থাকুন।’
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তা একদিকে যেমন সম্প্রীতির তেমনই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের দফতরে ফিরহাদ হাকিমকে প্রচার থেকে সরিয়ে দেওয়ার নালিশ ঠুকেছে বিজেপি। অভিযোগ, তিনি নাকি উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন। আবার বিজেপি প্রার্থীকে দেখা যাচ্ছে মেজাজ হারিয়ে পুলিশের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দিতে।
এখানে আসার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়েছিলেন। শিশু মৃত্যু নিয়ে বৈঠক করেন চিকিৎসকদের সঙ্গে। তারপর আসেন ভবানীপুরে।
উল্লেখ্য, ভবানীপুরে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। আর তাই এখানে উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন। এই বিষয়ে তিনি আজ বলেন, ‘শোভনদা আমাকে ভবানীপুরে জায়গা ছেড়ে দিল। ঘরে ফিরতে পেরে খুশি। আমি সাধারণ মানুষ। আমার সৌভাগ্য যে আমি ভবানীপুর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি