বিজয়ের বাংলা: মাদক মামলায় যেদিন কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান চিত্রনায়িকা পরীমনি, সেদিন তার হাতে মেহেদীতে লেখা ‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’ বার্তাটি সবার নজর কেড়েছিল।
এবার সেই মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে মেহেদীতে লেখা আরেকটি বার্তা দিলেন পরীমনি।
বুধবার হাজিরা দেওয়ার জন্য আদালতে যান পরীমনি। বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদারের আদালতে উপস্থিত হন।
এ সময় আদালত চত্বরে তিনি ভক্তদের হাত উঁচিয়ে অভিবাদন জানান।
এ সময় তার হাতে মেহেদীতে লেখা একটি বার্তা নজর কাড়ে উপস্থিত সবার। তবে এবার তিনি ভিন্ন ইঙ্গিত করেছেন। লেখা রয়েছে—‘… মি মোর’।
মধ্যাঙ্গুল উঁচিয়ে বিশেষ এই বার্তা পরী কার উদ্দেশে দিয়েছেন, কেন দিয়েছেন, তা স্পষ্ট নয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে— নিন্দুকের জন্যই তার এমন বার্তা।
উল্লেখ্য, মধ্যাঙ্গুলি প্রদর্শনীকে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি বলে ধরে নেওয়া হয়। এই ইঙ্গিতের সাধারণ অর্থ থেকে অনেক খারাপ অর্থ হতে পারে।
অনেক সংস্কৃতিতে বিশেষ করে পশ্চিমা বিশ্বে এটা খুবই খারাপ বা অশ্লীলতার চিহ্ন হিসেবে বিবেচিত হয়। অনেক সংস্কৃতি এই ইশারাকে অসম্মান করার প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করে।
এর আগে ‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’ বার্তার ব্যাখ্যায় পরীমনি জানিয়েছিলেন, তার সঙ্গে যারা দুমুখো আচরণ করেছেন, যারা তার সুসময়ের ভাগ নিয়ে দুঃসময়ে পাশে ছিলেন না, তাদের উদ্দেশ্যেই ওই বার্তা দিয়েছিলেন তিনি।
তবে এবারের বার্তা দিয়ে কী বোঝাতে চেয়েছেন তা এখনও স্পষ্ট করেননি নায়িকা।
গত ৪ আগস্ট রাতে প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরীমনি ও তার সহযোগী দীপুকে আটক করে র্যাব। এ সময় পরীমনির বাসায় বিভিন্ন ধরনের মাদক পাওয়া গেছে বলে জানায় র্যাব। পর দিন ৫ আগস্ট র্যাব-১ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পরীমনি ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করে।
এর পর তিন দফায় মোট সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় পরীমনিকে। প্রথম দফায় ৫ আগস্ট চার দিন, দ্বিতীয় দফায় ১০ আগস্ট দুদিন এবং ৩য় দফায় ১৯ আগস্ট একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয় তার। বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন