বাল্যবিয়ের অভিশাপে বৃষ্টির দুঃসহ জীবন
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের কাটাগাড়ি আদর্শগ্রামের মৃত নুর হোসেনের মেয়ে বৃষ্টি
খাতুন (১৪)। বাল্যবিয়ের অভিশাপে সে এখন শারীরিক প্রতিবন্ধী। বৃষ্টি জানায়, বলদিপাড়া দাখিল মাদ্রাসায় ৭ম
শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় ২০১৯ সালে পাশের দেশিগ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে আব্দুল মমিনের সাথে তার বিয়ে
দেওয়া হয়। কিন্তু কোনোভাবেই সে স্বামী, সংসার ও পরিবারের সঙ্গে মানিয়ে চলতে পারছিলেন না। স্বামীকে দেখে
তার খুবই ভয় লাগতো। এ বিষয়টা না কেউ বুঝতে চাইতেন, নাতো কেউ মেনে নিতেন! সে ভেবে নিলো, এত ভয়ের
মধ্যে বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়াই ভালো। তাইতো কীটনাশক পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। অনেক চিকিৎসার
পর প্রাণে বেঁচে গেলেও দু’পায়ের শক্তি হারিয়ে যায়। সে এখন লাঠিতে ভর করে খুড়িয়ে-খুড়িয়ে হাঁটেন। বৃষ্টির মা
বাচা খাতুন বলেন, দেরিতে হলেও তিনি বুঝতে পারেন, মেয়েকে অল্প বয়সে বিয়ে দেওয়া মোটেও ঠিক হয়নি।