1. atikurrahman0.ar@gmail.com : বিজয়ের বাংলা : বিজয়ের বাংলা
  2. Mijankhan298@gmail.com : Bijoyerbangla News : Bijoyerbangla News
  3. rabbimollik2002@gmail.com : Bijoyerbangla News : Bijoyerbangla News
  4. msthoney406@gmail.com : বিজয়ের বাংলা : বিজয়ের বাংলা
  5. abur9060@gmail.com : বিজয়ের বাংলা : বিজয়ের বাংলা
স্বাক্ষর নাকি করেন না শিক্ষা কর্মকর্তা,এদিকে বেতন মেলছে না শিক্ষকদের - ২৪ ঘন্টাই খবর

স্বাক্ষর নাকি করেন না শিক্ষা কর্মকর্তা,এদিকে বেতন মেলছে না শিক্ষকদের

  • আপডেট করা হয়েছে: মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২২
  • ৬৫২ বার পঠিত

ঢাকার ধামরাইয়ে বান্নল লাক্ষু হাজী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বাগবিতণ্ডার জেরে সাত শিক্ষকের বেতন আটকিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। তবে স্কাউট এবং ক্রীড়া ফি

জমা না দেওয়ার কারণে তিনি শিক্ষকদের উপস্থিতির প্রতিবেদনে প্রতিস্বাক্ষর দিচ্ছেন না বলে জানান তিনি। প্রতিস্বাক্ষর না দেওয়ার ফলে মার্চ মাসের বেতন, বৈশাখি এবং ঈদ উৎসব ভাতা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করতে পারছেন না শিক্ষকরা। এতে করোনাপরবর্তী সময় এবং ঈদকে সামনে

রেখে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তাঁরা। জানা গেছে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে উপজেলা অডিটরিয়ামে অটিজম শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের বিষয় নিয়ে বান্নল লাক্ষু হাজী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল গফুরের সঙ্গে উপজেলা মাধ্যমিক

শিক্ষা কর্মকর্তা শাহিন আশরাফির বাগবিতণ্ডা হয়। নিজের ভুল বুঝতে পেরে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে ক্ষমা চাইতে যান আবদুল গফুর। কিন্তু তাঁকে বেয়াদব বলে কক্ষ থেকে বের করে দেন শাহিন আশরাফি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে

শিক্ষক উপস্থিতির প্রতিবেদনে স্বাক্ষর করছেন না তিনি। পরে কয়েকজন শিক্ষক মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে তাঁদের উপস্থিতির প্রতিবেদনে প্রতিস্বাক্ষর করার জন্য পরপর দুই দিন শাহিন আশরাফিকে অনুরোধ করেন। এরপরও তিনি

স্বাক্ষর করেননি। ফলে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ কর্মচারীরা বেতন-ভাতা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করতে পারছেন না। বিদ্যালয়ের করনিক জানান, তাঁর বাবা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। প্রতিমাসে বেতন পাওয়ার পর ওষুধ কিনে

দিই তাকে। কিন্তু এ মাসে এখনো ওষুধ কিনে দিতে পারিনি। এই ছাড়া সামনে ঈদ, বেতন না দিলে চলব কিভাবে?’ এর আগে চলতি মাসের ১২ তারিখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী পদাধিকার বলে ওই

বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন শিটে স্বাক্ষর দেন। কিন্তু উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শিক্ষক উপস্থিতি প্রতিবেদনে প্রতিস্বাক্ষর দেননি। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহিন আশরাফি বলেন, ‘বাগবিতণ্ডার জেরে নয় ওই বিদ্যালয়ের

প্রধান শিক্ষক একজন খারাপ প্রকৃতির লোক। তিনি স্কাউট ফি এবং ক্রীড়া ফি জমা দেননি। তাই শিক্ষক উপস্থিতি প্রতিবেদনে স্বাক্ষর করিনি। ‘ স্কাউট এবং ক্রীড়া ফির সঙ্গে বেতন প্রদানের কোনো সম্পর্ক আছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন,

বেতন আটকিয়ে না দিলে কেউ ফি জমা দিতে চান না। ‘ তবে জানা গেছে, বান্নল লাক্ষু হাজী উচ্চ বিদ্যালয়ের স্কাউট ও ক্রীড়া ফি প্রতিমাসে জমা দেওয়া হচ্ছে। প্রধান শিক্ষক আবদুল গফুর

বলেন, স্কাউট এবং ক্রীড়া ফি ঈদের পরে জমা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও তিনি আমাকে বেয়াদব বলেছেন। এমনকি তাঁর কক্ষ থেকে আমাকে বের করে দিয়েছেন। আমি যেন তাঁর অফিসে আর কখনো

না যাই আমাকে শাসিয়ে দিয়েছেন। এ কারণে তাঁর কাছে আর যাইনি। ‘ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী বলেন, ‘আমি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে স্বাক্ষর দিয়ে দিতে বলেছি। ‘

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর পড়ুন
© All rights reserved 2022
Site Developed By Bijoyerbangla.com