ঘরে সুন্দরী বউ। ফুটফুটে দুটি সন্তান। তারপরও ১৪ বছরের কিশোরীকে বিয়ে করলেন যুবক। কিন্তু বিয়ের দুই মাস পর বাধ সাধলেন কিশোরীর মা। ওই কিশোরীর মা বিষয়টি উপজেলা
মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে জানালে তিনি রোববার (৬ নভেম্বর) ঘটনাস্থলে গিয়ে বাল্যবিয়ের সত্যতা পান। পরে দুই সন্তানের জনক রুমন আহমদ (২৮)-কে এক মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসান এই দণ্ড দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত রুমন মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড় উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের উত্তর হিংগাজিয়া গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানায়, রুমন ঘরে স্ত্রী-সন্তান রেখে টিলাগাঁও ইউনিয়নের একটি ১৪ বছরের কিশোরীকে গত দুইমাস আগে বিয়ে করে। ওই মেয়ের মা বিষয়টি উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে বাল্যবিয়ের
সত্যতা পান ও বাল্যবিয়ে করার অপরাধে একমাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সৌমিত্র কর্মকার উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতকে কুলাউড়া থানা পুলিশের একটি দল সহযোগিতা করে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসান জানান, রুমনের স্ত্রী ও দুইটি সন্তান রয়েছে। তারপরও রুমন বাল্যবিয়ে করেঅ। এ অপরাধে তাকে একমাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। সেই সাথে মুচলেকা দিয়ে ওই কিশোরীকে তার মা নিয়ে যান।
তিনি আরও জানান, বাল্যবিয়ে একটি সামাজিক ব্যাধি। এর বিরুদ্ধে সমাজের প্রতিটি নাগরিকদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তবেই সমাজের উন্নয়ন সম্ভব।