প্রাইম ব্যাংক জাতীয় স্কুল ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় এবার ফরিদপুর জেলায় নজর কেড়েছেন এক হাতে খেলা শারীরিক প্রতিবন্ধী ক্রিকেটার মো. সুমন। ফরিদপুর মুসলিম মিশন স্কুলের হয়ে প্রতিযোগিতার সবগুলো ম্যাচই খেলেছেন তিনি। শারীরিক
সীমাবদ্ধতাকে জয় করেছেন তুমুল ইচ্ছাশক্তি দিয়ে। শনিবার ফরিদপুর জেলার ফাইনালে সুমন ফরিদপুর মুসলিম মিশন স্কুল খেলেছে ফরিদপুর জিলা স্কুলের বিপক্ষে। যেখানে ৫ উইকেটে হেরে গেছে ফরিদপুর মুসলিম মিশন, চ্যাম্পিয়ন
হয়েছে ফরিদপুর জিলা স্কুল। তবে সবার মনোযোগের কেন্দ্রে ছিলেন এক হাত নিয়ে খেলা সুমন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক সড়ক দুর্ঘটনায় সুমনের বাম হাত অকেজো হয়ে যাওয়ার পর সেটি কেটে ফেলে দেওয়া হয়। তবু অদম্য মনোবলের সঙ্গে ক্রিকেট খেলা চালিয়ে গেছে সে। এবার
স্কুল ক্রিকেটে অংশ নিয়েছে প্রতিটি ম্যাচে। এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ম্যাচে ভালো রানও করেছে এই ডানহাতি ব্যাটার। জাগো নিউজের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে সুমন জানিয়েছে, ক্রিকেটে বাংলাদেশের জন্য কিছু করার ইচ্ছা রয়েছে
আমার। স্কুল ক্রিকেটে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার জন্য স্কুলের শিক্ষকদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সুমন, আমার স্যারদের সহযোগিতা না থাকলে এতো বড় টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারতাম না। ক্রিকেটের পাশাপাশি ফুটবল খেলায় অংশ নিয়েও প্রাইম ব্যাংক জাতীয় স্কুল ক্রিকেটের
এই আসরে অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছি। এই বিষয়ে মুসলিম মিশন উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষক এহসানুল হক জাগো নিউজকে বলেন, প্রতিযোগিতায় প্রথমবারের মতো কোনো প্রতিবন্ধী ক্রিকেটার অংশ নেওয়ায় অনেকের
দৃষ্টি ছিল সুমনের দিকে। স্কুল ক্রিকেটে প্রতিবন্ধী ক্রিকেটার হিসেবে মাঠে নামার ঘটনা ফরিদপুরে এই প্রথম। শারীরিক প্রতিবন্ধিকতার পরেও ভালো খেলোয়াড় হবার স্বপ্ন দেখে সুমন। উল্লেখ্য, শনিবার শেখ জামাল স্টেডিয়াম অনুষ্ঠিত ফাইনালে ফরিদপুর মুসলিম মিশন স্কুলকে
৫ উইকেটে হারিয়েছে ফরিদপুর জিলা স্কুল। নির্ধারিত ৫০ ওভারে খেলায় প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ফরিদপুর মুসলিম মিশন ১১২ রানে অলআউট হয়। ইনিংসে সর্বোচ্চ রান অতিরিক্ত ৪৭ থেকে। ব্যাটারদের মধ্যে রিয়াজ ২৫ রান করে।
ফরিদপুর জিলা স্কুলের পক্ষে আসিব ৪ উইকেট লাভ করেন। জবাবে ফরিদপুর জেলা স্কুল ৫ উইকেট হারিয়ে ১১৬ রান সংগ্রহ করে। দলের পক্ষে উদয় ৩৪ রান করেন। ফরিদপুর মুসলিম মিশনের পক্ষে ফারদিন এবং তামিম দুইটি করে উইকেট লাভ করেন।