বিজয়ের বাংলা:
তারা পরস্পর বন্ধু। গ্রেফতার নাজির একটি হাসপাতালের ও’য়ার্ড বয়। আর এই চক্রের মূলহোতা কা’মরুজ্জামান ভুয়া সেনা কর্মকর্তা। নাজির কৌশলে সাধারণ মানুষের সাথে চাকরি দেয়ার মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে ঘ’নিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলে। ভিকটিমের বিশ্বস্ততা অর্জনের পর সে
(নাজির) তার বন্ধু কামরুজ্জামানকে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে ভিকটিমের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। এরপর কামরুজ্জামান ভিকটিমকে আশ্বস্ত করে, ইতোপূর্বে সে বহু লোককে সেনাবাহিনীতে চাকরি দিয়েছে। তবে চাকরি
পেতে হলে সেনাবাহিনীর নিয়োগ বোর্ডে যারা থাকে তাদেরকে ৫ লক্ষ টাকা দিতে হবে। এভাবে প্রথমে সে একটি চু’ক্তিনামা করে টাকা নিজের কাছে নিয়ে নেই। তারপর প্রার্থীর কাছ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদনপত্র গ্রহণ করে।সোমবার বিকালে র্যাব-৩এর সহকারী প’রিচালক মিডিয়া
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বীণা রাণী দাস এক বার্তায় এই তথ্য জানান। রাজধানীর সূত্রাপুর ও গাজীপুর জে’লার শ্রীপুর এলাকায় পৃথক দুটি অভিযান চালিয়ে নাজির হোসেন (৩২) ও কামরুজ্জামান (৩৩) নামের প্রতারক চক্রের
২ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৩। এরপর আরেক ধাপে শুরু হয় প্রতারণা, চাকরি প্রার্থীকে জানানো হয় আপনাকে (ভিকটিম) একটি পদের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। তবে নিয়োগ পত্র পেতে হলে আরও ২ লক্ষ টাকা দিতে হবে।
এভাবে সে ধাপে ধাপে ভিকটিমের নিকট থেকে টাকা আদায় করতে থাকে। একপর্যায়ে ভিকটিমকে একটি ভুয়া নি””য়োগপত্র দিয়ে তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়ে। পরে নিজেদের চলাচলের অবস্থা পরিবর্তন করে ফেলে। এভাবেই চক্রটি বিভিন্ন
সময় বিভিন্ন জনের কাছ থেকে এভাবে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। তিনি জানান, র্যাব ৩ সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তি”তে জানতে পারে, প্রতারক চক্রের সদস্য নাজির হোসেন এবং কামরুজ্জামান দীর্ঘদিন যাবত বাংলাদেশ
সেনাবাহিনীতে মেস ওয়েটার এবং সৈনিক পদে চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাধারণ জনগণকে বিভিন্ন ভাবে প্রলুব্ধ করে ভুয়া নিয়োগপত্র
প্রদানের মাধ্যমে মোটা অংকের অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে। গ্রেফ”তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে সূত্রাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।সূত্র-নয়াদিগন্ত।