পুলিশ কর্মকর্তা মামুন খুনের মামলায় আসামি আরাভ খানের ডাকে জুয়েলারি দোকান উদ্বোধন করতে ১৪ মার্চ দুবাই যান সাকিব আল হাসান। সাকিবের দুবাই যাওয়ার খবরে দেশে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। ব্যাপারটি নিয়ে সবর হয় ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।
এরপরই বেড়িয়ে আসতে শুরু করে আরাভ খানের একের পর এক কৃতকর্মের খবর। দিনমজুর বাবার সন্তান আরাভ পাঁচ বছর আগেও জীবন যাপন নিয়ে ছিলেন দুশ্চিন্তায়। খুনের মামলা মাথায় নিয়ে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে দুবাইয়ে পাড়ি জমান। তিনিই এখন কোটি কোটি টাকার মালিক।
বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করে দুবাইয়ে ‘আরাভ জুয়েলার্স’ নামে একটি গোল্ড শোরুমের ব্যাবসা শুরু করেছেন। এছাড়াও কিনেছেন বাড়ি-গাড়ি। তার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধন অতিথী ছিলো দেশ বিদেশের অনেক তারকা। তবে সবাইকে ছাড়িয়ে আলোচনায় ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। ডিবি পুলিশের প্রধান হারুন অর রশিদের দাবি সাকিবকে নিষেধ করার পরেও সে ওই অনুষ্ঠানে গিয়েছে।
ডিবি প্রধানের এমন বক্তব্যের পর প্রশ্ন উঠেছে সাকিব কি তাহলে আরাভের ব্যাবসার সাথে জড়িত? অনেকে জানতে চেয়েছে সাকিবের সাথে আরাভের সম্পর্কটা কি? রবিবার (১৯ মার্চ) এক ফেসবুক লাইভে যুক্ত হয়ে সেই সব প্রশ্নের উত্তর জানালেন আরাভ নিজেই।
আরাভ খান বলেন, আসলে সাকিব আল হাসান ভাই একজন খুব ভালো মানুষ। আমি উনার সাথেই অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলাম। সব চেয়ে মজার ব্যাপার হলো উনার সাথে আমি কিছুক্ষণ কাটিয়েছি। উনার মত ভালো মানুষ আমি দেখি নাই। উনি এত ফ্রেন্ডলী এটা খুব ভালো লেগেছে। একদম বড় ভাইয়ের মতো সুন্দর করে আমার সাথে কথা বলেছে।
তিনি বলেন, সাকিব ভাইয়ের সাথে আমার যে কথাবার্তা হয়েছে সেটা হচ্ছে, ব্যাসিক্যালি আমি উনাকে আনিনি। আমার একটা বড় ভাইকে আমি বলি, ভাই আমি না সাকিব আল হাসান ভাইকে খুব পছন্দ করি আমার উনাকে চাই। সে কিভাবে কি করে এনে দিয়েছে সেটা তার ব্যাক্তিগত ব্যাপার। আমি জানিনা।