বিজয়ের বাংলা:
নিজের পরিবার নিয়ে জনমানবহীন দ্বীপে রোমাঞ্চকর ভ্রমণে গি’য়েছিলেন মেরিলি চেকন নামের ভেনেজুয়েলার এক নারী। কিন্তু মাঝ সমুদ্রে দুর্ঘটনায় পড়ে তাদের ইয়াট। ভাঙা ইয়াটের অংশে দুই শিশু সন্তানকে নি’য়ে টানা চারদিন বেঁচে
থাকার জন্য প্রাণপণ লড়াই করেন ওই নারী। শেষ পর্যন্ত নিজেকে রক্ষা করতে না পারলেও সন্তানদের বাঁচাতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। নিউইয়র্ক পোস্ট জানিয়েছে,গত ৩ সেপ্টেম্বর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভেনেজুয়েলা থেকে ক্যা”রিবীয় দ্বীপ লা তোর্তুগাতে বেড়াতে গিয়েছিলেন মেরিলি। তার
ছেলে-মেয়েসহ মেরিলিরা সংখ্যায় নয়জন ছিলেন। তারা থর দ্য হিগুরেতে নামের এক”টি ইয়াট ভাড়া করে সেখানে গিয়েছিলেন। ৫ সেপ্টেম্বরই ফিরে আসার কথা ছিল তাদের। কিন্তু ৫ সেপ্টেম্বর রাত ১১টা বেজে গেলেও ফেরেননি মেরিলিরা। তখন
সন্দেহ হওয়ায় ভে”নেজুয়েলার ন্যাশনাল মেরিটাইম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই সংস্থা। তাদের জানানো হয় গন্তব্যস্থলে ইয়াট পৌঁছায়নি, রওনাস্থলে ফিরেও আসেনি। ৬ সেপ্টেম্বর মেরিলিদের যাত্রাপথে খোঁজ শুরু করে
ভেনেজুয়েলার মেরিটাইম কর্তৃপক্ষ। অনুসন্ধানকারী দলটি দেখে লা অর্চিলা দ্বী’পের কাছে ইয়াটের ভাঙা অংশ। ৭ সেপ্টেম্বর সকালে ওই দ্বীপ থেকে কিছুটা দূরে তারা দেখতে পান ইয়াটের একটা ভাঙা অংশ ভাসছে সমুদ্রে। তাতে দুই সন্তানসহ
মেরিলিকে দেখতে পান তারা। তবে মেরিলিদের উদ্ধার করা গেলেও বাকি সদস্যরা এখনো নিখোঁজ। মেরিলির মা”রা গেলেও তার ২ সন্তান বেঁচে আছেন। মৃ”ত্যুর আগে দুই সন্তানকে আঁকড়ে ধরে ইয়াটের ভাঙা অংশেই বাঁচার লড়াই
চালিয়েছিলেন মেরিলি চেকন। মাঝ সমুদ্রে সূর্যের তাপে ডিহাইড্রেশন হওয়ার ভয় পেয়েছিলেন মেরিলিন। পানীয় জল ছিল না, খাবার ছিল না। উপায় না দেখে নি”জের প্রস্রাব পান করেছিলেন যাতে শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে না যায়। আর ছেলে-মেয়েকে ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচাতে নিজের
স্তন্যপান করিয়েছেন। ৩ দিন সমুদ্রে এভাবেই কাটিয়েছেন। কিন্তু চতুর্থ দিন আর পারেননি। উদ্ধারকারীরা আসার আগেই ডিহাইড্রেশনেই মারা
যান মেরিলি। কিন্তু সন্তানদের বাঁচিয়ে গিয়েছেন তিনি। মায়ের নিথর দেহ আঁকড়ে দুই শিশুকে ভাসতে দেখে”ছিলেন উদ্ধারকারীরা। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।সূত্র-যুগান্তর।