‘আমি ধানমণ্ডির তিন নম্বরে বেলার কার্যালয়ে যাচ্ছিলাম। ঠিক সেই সময় বের হয়ে দেখি পুলিশ মাঠে দেয়াল দেওয়ার কাজ করাচ্ছে। বাচ্চাদের মাঠটি চিরতরে মেরে ফেলা হচ্ছে। আমি দ্রুত কিভাবে ঘটনা সবাইকে জানাব- সেটাই চিন্তা করছিলাম। দ্রুত ফেসবুকে লাইভে গেলাম। লাইভ করায় পুলিশের লোকজন এসে প্রথমে বাধা দেয়। সবাইকে
জানাতে চাওয়ায় পুলিশ আমাকে জোর করে গাড়িতে তোলে। ’ কথাগুলো বলছিলেন সৈয়দা রত্না। সংস্কৃতি এবং সমাজকর্মী রত্নাকে গত রবিবার পুলিশ আটক করে কলাবাগান থানায় নিয়ে যায়। তার ছেলেকেও আটক করে রাখা হয়। প্রতিবাদের মুখে ছেড়ে দেওয়া হলেও এর আগে
তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে। মুক্ত হওয়ার পর কলাবাগানের উত্তর ধানমণ্ডির বাসায় আছেন এই প্রতিবাদী নারী। গতকাল প্রথমে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চাননি তিনি। পরে কালের কণ্ঠকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, প্রতিবাদ করার কারণেই অমানবিক এক অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছে। তার এই
প্রতিবাদ এখন সবখানে ছড়িয়ে পড়েছে। এজন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রত্না। প্রশ্নঃ এখন কেমন আছেন? আপনার ছেলে কেমন আছে? রত্না : আমি এখন ভালো আছি। আমার ছেলেও ভালো আছে। এমন অভিজ্ঞতা তো আগে হয়নি। তাই কিছুটা…। প্রশ্নঃ আপনি কিভাবে
মাঠের আন্দোলনে যুক্ত হলেন? সৈয়দা রত্না : খেলার মাঠে থানা হওয়ার কথা শোনার পর থেকেই আমি বিরোধীতা করেছি। এখানে মানববন্ধন হয়েছে। সেখানেও ছিলাম। একজন সচেতন মানুষ হিসেবে আমি চেয়েছিলাম এখানে বাচ্চাদের জন্য একটি খেলার মাঠ থাকুক। প্রশ্নঃ পুলিশ
আপনাকে কীভাবে আটক করল? রত্না : আমি সংস্কৃতি এবং সামাজিক বিষয়ে সক্রিয় থাকার চেষ্টা করি। দেওয়াল দেওয়া হচ্ছে শুনে আমি ধানমণ্ডির ৩ নম্বরে বেলার কার্যালয়ে যাচ্ছিলাম। বের হয়ে দেখি পুলিশ মাঠে দেয়াল দেওয়ার কাজ করাচ্ছে। বাচ্চাদের মাঠটি
চিরতরে মেরে ফেলা হচ্ছে। আমি দ্রুত কিভাবে ঘটনা সবাইকে জানাব- সেটাই চিন্তা করছিলাম। দ্রুত ফেসবুকে লাইভে গেলাম। লাইভ করায় পুলিশের লোকজন এসে প্রথমে বাধা দেয়। সাবাইকে জানাতে চাওয়ায় পুলিশ আমাকে জোর করে গাড়িতে তোলে। প্রশ্নঃ পুলিশ হেফাজতে
আপনার সঙ্গে কী হয়েছে? রত্না : না, তারা আমাকে তেমন কিছু বলেনি। সেভাবে কিছু জানতে চায়নি। দীর্ঘ সময় বসিয়ে রেখেছে। কি হচ্ছে বুঝতে পারছিলাম না। প্রশ্নঃ আপনার প্রতিবাদে অনেকেই সক্রিয় হয়েছে, আপনার মুক্তির জন্যও অনেকে থানায় গেছে…। রত্না : এটা
জানার পর আমার অনেক ভালো লেগেছে। আমি চেয়েছিলাম সবাই প্রতিবাদ করুক। সেটাই হয়েছে। প্রশ্নঃ আপনার সঙ্গে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেউ যোগাযোগ করেছে? রত্না : না, তেমন কেউ যোগাযোগ করেনি। প্রশ্নঃ আজকের (গতকাল)
আন্দোলনে আপনাকে দেখা যায়নি… রত্না : আমি একটি শর্তের মধ্যে আছি। এই ব্যাপারে আর কিছু বলতে পারছি না। তবে এটুকু বলবো যে এখন আর আমার একার কথায় কিছু হবে না। সবাই এখন সোচ্চার। প্রশ্নঃ আপনাকে ধন্যবাদ। রত্না : আপনাদেরও ধন্যবাদ।