পৌষের শুরু থেকে স্বস্তি ফিরেছে সবজির বাজারে। শীতের সবজির ভরপুর সরবরাহ থাকায় দামও অনেক কম। নতুন করে বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম। কমেছে চালের দাম। শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সকালে সরেজমিনে রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
অন্যদিকে গত সপ্তাহের ব্যবধানে মরিচের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০-৪০ টাকা। বাজারে এখন এক কেজি মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা দরে। যা সপ্তাহখানেক আগে ৮০ টাকা ছিল।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে মরিচ বিক্রেতা কালাম মিয়া সোনালীনিউজকে বলেন, পাইকারিতে ১০ থেক ১৫ দিন ধরে কাঁচা মরিচের দাম বাড়ছে। সরবরাহ কম সেজন্য দাম উঠছে। এ কারণে খুচরা পর্যায়েও দাম বাড়তি।
ডিসেম্বরের শুরু থেকেই বাজারে আসা শুরু হয় আমন ধানের নতুন চাল। এতে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে কিছুটা কমতে থাকে চালের দাম। নতুন বছরের জানুয়ারিতেও দাম কমার এ ধারা অব্যাহত রয়েছে। তবে সেটা স্বস্তির পর্যায়ে পৌঁছেনি। বাজারে চালের সরবরাহ বাড়ার পরও কেজিতে দাম কমছে মাত্র দু-তিন টাকা। গত কয়েক মাসের ব্যবধানে চালের বাজার এখনো অনেক চড়া।
এখন বাজারে গুটি স্বর্ণা জাতের চালের কেজি ৪৮ থেকে ৫২ টাকা। মাঝারি আকারের চালের দামও কমেছে এক থেকে দুই টাকা করে। পায়জাম ও বিআর-২৮ জাতের চাল মাঝারি আকারের চালের কেজি কেনা যাবে ৫৮ থেকে ৬০ টাকা দরে। তবে চিকন বা মিনিকেট চালের দাম কমেনি। এ মানের চাল এখনও ৭২ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারের চাল ব্যবসায়ী হামিদুল্লাহ বলেন, আমাদের বেশিরভাগ মিনিকেট চালের ক্রেতা এখন বিআর-২৮ জাতের চাল কিনছেন। খরচ কমানোর জন্যই চালের কেনার ক্ষেত্রে পরিবর্তন এনেছেন ক্রেতারা।
এদিকে শীত মৌসুমের বেশিরভাগ সবিজির দাম কমেছে। দু-তিনটি ছাড়া বেশিরভাগ সবজির দাম ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বিশেষ করে সিম, শালগম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পেপে, মুলা ও নতুন আলু কেনা যাচ্ছে এ দামে। অন্যদিকে সরবরাহ বাড়ায় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা দরে।
এছাড়া আগের মতোই ডিম প্রতি ডজন ১১৫ থেকে ১২০ টাকা এবং ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায় কেনা যাচ্ছে। প্রতি কেজি ৭০০ টাকায় অপরিবর্তিত রয়েছে গরুর মাংসের দামও। মাছের বাজারেও দরদাম রয়েছে প্রায় অপরিবর্তিত।