চট্টগ্রাম নগরী থেকে নিখোঁজ হয় শিশু আয়াত। নিখোঁজের এক সাপ্তাহের বেশি সময় পর তার অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে জানতে পারে টাকার জন্য অপহরণ করেছে তাদের বাসার সাবেক ভাড়াটিয়া। নিখোঁজের সময়
চিৎকার করায় তাকে হত্যা করে ৬ টুকরো করে পানিতে ফেলে দেয় অপহরণকারী। বুধবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে আলীনা ইসলাম আয়াতের (৫) খণ্ডিত ২টি পা উদ্ধার করে পিবিআই
চট্টগ্রাম মেট্রো। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) পাওয়া গেছে আয়াতের খণ্ডিত মাথা। এ বিষয়ে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়েছেন।
পোস্টে লিখেন, আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় দেখেছি বিশ্বকাপ ফুটবলে আমার দেশের আর্জেন্টাইন সমর্থকরা অন্য যেকোন দেশের সমর্থকদের চেয়ে বেশী আবেগপ্রবন৷ গত কয়েকদিন আজেন্টিনার ভক্তদের কেটেছে দারুন উদ্বেগ আর উৎকন্ঠার মধ্য দিয়ে এবং আজ মধ্যরাত ছিল তাদের জন্য উৎসব ও উন্মাদনার – আর্জেন্টিনা ফিরে এসেছে স্ব-মহিমায়।
বিগত ৭ দিন ধরে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর হার না মানা সন্ধান অভিযান চলাকালে গতকাল বিকালে আলীনা ইসলাম আয়াতের (৫) খন্ডিত ২টি পা উদ্ধার হয় যা তার মৃত্যুর ১৫ দিন পরও আশ্চর্য্যজনকভাবে সতেজ ছিল! আজ সকালে পাওয়া গেল আয়াতের নিষ্পাপ মুখের খন্ডিত মাথাটি – মায়ের বেধে দেওয়া নীল ক্লিপটি এখনো চুলে গেঁথে আছে।
এ নীল তো আর্জেন্টিনার রঙ! মেসির আর্জেন্টিনা বা তাঁদের কোন সমর্থক কি জানেন – বাংলাদেশের এক ক্ষুদে দেবশিশু তার প্রিয় দলের বিজয় দেখার জন্য গত রাতেও সাগর তীরের একটি স্লুইসগেটের প্রকোষ্ঠে হিমশীতল জলের তলে অপেক্ষায় ছিল -অভিমানী আয়াতের অপাপবিদ্ধ মুখটি যেন বারবার বলতে চাইছে – এতকিছু পার, কই আমাকে তো রক্ষা করতে পারলেনা!
পোস্টের শেষে তিনি আয়াতের সকল আত্মীয়স্বজন, সাগর পাড়ের মানুষ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, গণমাধ্যম কর্মী, এবং র্যাব ও সিএমপিদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তাদের সহযোগিতা ছাড়া এ তল্লাশি কার্যক্রম সফল হতো না।