ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে রাজধানীর অনেক এলাকার অলি-গলিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকালে এমন রাজধানীতে এমন চিত্র দেখা গেছে। সকালে রাজধানীর আদাবর
এলাকার শেখেরটেকের ৬ নং রোড়ে দেখা যায়, গলিতে প্রায় কোমর পানি জমে আছে। পানির জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে শিক্ষার্থী, অফিসগামী এবং কর্মজীবী মানুষরা গন্তব্যে যেতে চরম ভোগান্তির মধ্যে
পড়েছেন। এসময় মূল সড়কে আসতে তাদের রিকশায় ভর করতে হচ্ছে। আর এ সুযোগে রিকশাচালকরা বেশি ভাড়া হাঁকচ্ছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। আবার অনেক রিকশা চালক পানিতে যেতেও চাচ্ছে না।
মোহাম্মদপুর এলাকার এনামুর রহমান বলেন, আমার ছেলেকে স্কুলে নিয়ে এসেছি। রাস্তায় পানি থাকায় ২০ টাকার ভাড়া আজ দিতে হয়েছে ৫০ টাকা। সময় ও টাকা লেগেছে দ্বিগুণ। তিনি বলেন, প্রতিদিন রিকশার
জন্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা যায় না, আজকে রিকশা পেতে ২০ মিনিট সময় লেগেছে। ২০ মিনিট পর রিকশা পেয়েছি, কিন্তু ৫০ টাকার কমে যাবে না। তাই শেষ পর্যন্ত ৫০ টাকা দিয়েই ছেলেকে স্কুলে নিয়ে এলাম।
ব্যাংক কর্মকর্তা মীর শাকিল জানান, পানি জমে থাকার কারণে ৩০ টাকার ভাড়া ৬০ টাকা নিয়েছে। কিন্তু তারপর আর সামনে আসেনি রিকশা, বাধ্য হয়ে জুতা হাতে নিয়ে, কাপড় হাঁটু পর্যন্ত উঠিয়ে গন্তব্যে এলাম। টাকাও দিলাম ডাবল, কষ্টও করলাম।
অফিনগামী মোসা বলেন, টানা বৃষ্টিতে আমার বাসার নিচে পানি জমেছে। এমন পানি জমেছে যে হেঁটে কোথাও যাওয়ার মতো ব্যবস্থা নেই। গেলে কাপড় নষ্ট হবে। তাই বাধ্য হয়ে ফোন করে রিকশা এনে বাসা থেকে অফিসের জন্য বের হয়েছি। ২০ টাকার ভাড়া দিয়েছি ৫০ টাকা।
ভোগান্তির আরেক চিত্র দেখা গেছে রিকশা না পাওয়া কিংবা রিকশায় না আসা অলি-গলির মানুষদের। তাদেরকে এক হাতে ছাতা, অন্যহাতে জুতা; কেউ কেউ এক হাতে জুতা, অন্যহাতে হাঁটু পর্যন্ত কাপড় উঠিয়ে ধীরে ধীরে রাস্তা পার হচ্ছেন।
মোহাম্মদপুরের মতো একই চিত্র দেখা গেছে বাড্ডা, খিলগাঁও, শ্যামপুর, উত্তরখান, মিরপুর, বনশ্রী, বসুন্ধরা, খিলক্ষেত, এয়ারপোর্টসহ বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এসব এলাকার বাসিন্দাদেরও ভোগান্তি নিয়ে চলতে হচ্ছে।