যশোরের কোতোয়ালি থানার তেঁতুলতলা রেলগেট এলাকা থেকে খালিদ হাসান নামে এক ব্যক্তি মঙ্গলবার (৭ জুন) বিকেল সোয়া তিনটার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ নম্বরে ফোন করেন। তিনি জরুরি উদ্ধার সহায়তা চেয়ে অনুরোধ জানান।
তিনি জানান, সেখানে একটি ড্রেনের ভেতরে কয়েকটি শিশু-কিশোর আটকা পড়েছে। তিনি শিশু-কিশোরদের কান্নাকাটি ও বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার শুনতে পেয়েছেন। ড্রেনে
পানি প্রবেশের ছোট্ট একটি ফাঁক দিয়ে তিনি কান্নারত এক শিশুকে দেখতে পেয়েছেন। ওই শিশু জানায়, ড্রেনের ভেতরে তার সঙ্গে আরও দুজন রয়েছে।
ঘটনা জানা পর ৯৯৯-এর কলটেকার কনস্টেবল মোসাম্মৎ ফাতেমা আক্তার তাৎক্ষণিকভাবে যশোর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত উদ্ধার তৎপরতার জন্য
অনুরোধ জানান। পরে তিনি ফায়ার ডিসপাচ-এর ফায়ার ফাইটার মো. আল আমিনকে কলারের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেন এবং সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে যোগাযোগ করে উদ্ধার তৎপরতার আপডেট নিতে থাকেন।
খবর পেয়ে যশোর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একটি উদ্ধারকারী দল দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। ড্রেনে নামার আর কোনো পথ না থাকায় ঢালাই করা ড্রেনের কংক্রিট স্ল্যাব ভাঙার
প্রয়োজন হয়ে পড়ে। এরপর ড্রেনে বিষাক্ত গ্যাস থাকার ঝুঁকি উপেক্ষা করে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারীরা ড্রেনে নেমে প্রথমে এক কিশোরকে উদ্ধার করেন। এরপর ড্রেনের
ভেতর প্রায় আধা কিলোমিটার দূর থেকে আরও দুই শিশুকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ড্রেনটির উচ্চতা সাত ফুট, প্রস্থ তিন ফুট। এটির দৈর্ঘ্য প্রায় দুই কিলোমিটার।
উদ্ধারকৃত তিন শিশু-কিশোরের নাম নিরব (১৪), হৃদয় (১৯) ও নয়ন (১৩)।
তারা মাছ ধরতে ড্রেনে নেমেছিল বলে জানায়। হাঁটতে হাঁটতে এক পর্যায়ে অনেক দূর চলে আসার পর অন্ধকার ড্রেনের ভেতর তারা দিক ও পথ হারিয়ে ফেলে। উদ্ধারের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস দলের নেতৃত্বে ছিলেন সহকারী পরিচালক মনোরঞ্জন সরকার।