বিজয়ের বাংলা:
যারা ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে তারা আল্লাহর কুরআনের বিরুদ্ধে:বললেন মুহিউদ্দীন খান ফারুকী।মুহিউদ্দীন খান ফারুকী বলেছেন, রাসুল স.এর স্ত্রী আয়শা রা. এর ঘরে পুতুল ছিলো, সেই খেলনা পুতুল বর্তমান যে ভাস্কর্য সেটি। এই ভাস্কর্য দিয়ে মা আয়েশা রা.খেলাধুলা করতেন।
এই ভাস্কর্যের ভি’তর একটি ছিলো ঘোড়া,
এই ঘোড়ার দুটি ডানা ছিলো। রাসুল স. বললেন হে আয়শা এটি কি ঘোড়া যে এতে ডানা আছে, তখন মা আয়েশা রা.হাসি দিয়ে বললেন আপনি কি দেখেন নাই সোলাইমান আঃ এর ঘো’ড়ায় ডানা ছিলো,
এটা তো সেই সোলাইমান আঃ এর ঐতিহ্য। প্রিয় ভায়েরা আমি বলতে চাই রাসুল স. এর স্ত্রী মা আয়েশার ঘরে এই ভাস্কর্য ছিলো যার প্রমান বুখারি শরীফে র’য়েছে।শনিবার (৯ জানুয়ারি) বিকালে শাহবাগ জাতীয়
জাদুঘরের সামনে আলোকচিত্র শিল্পী ফজিত শেখ বাবুর আয়োজনে ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ কানাডার সহ’যোগিতায় এক অনুষ্ঠানে মুহিউদ্দীন খান ফারুকী এসব কথা বলেন তিনি।মুহিউদ্দীন খান ফারুকী বলেন, ধর্ম
সম্পর্কে আগে ভালো করে জানতে হবে, ধর্ম চলবে আল্লাহ এবং রাসুলে ইচ্ছায়। যারা বলছেন ভাস্কর্য এক সময় আমাদের পূজার দিকে নিয়ে যাবে আমি তাদের বলতে চাই আল্লাহ কুরআনে বলেছেন চন্দ্র সূর্যকে
তোমরা সিজদা করোনা, চন্দ্র সূর্যের মালিক আল্লাকে সিজদা করো।যদি প্রতিমা আমাদের পূজার দিকে নিয়ে যায় তাহলে চন্দ্রও তো আমাদের পূজার দিকে নিয়ে যেতে পারে। সুতরাং এই সকল খোড়া যুক্তির কোন
অবকাশ নাই। ইসলামকে ব্যাবহার করে যারা ভাস্কর্যের বিরোধীতা করছে তারা সম্পূর্ন মনগড়া কথা বলছে, ইসলাম তাদের এই অনুমতি দে’য়নি।তিনি আরো বলেন, আল্লাহর কুরআনে ভাস্কর্যের কথা বলা আছে, যারা ধর্মকে ব্যাবহার করে ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে
অবস্থান নিয়েছেন আমরা পরিস্কার বলতে চাই আপনি শুধু বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন নাই আপনি সরাসরি আল্লাহর কুরআনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিল।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান বঙ্গদ্বীপ মোসতাক আহমেদ ভাসানী, প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন তাকসীরকারক আল্লামা মুহিউদ্দীন খান ফারুকী,বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন
বাংলাদেশ তাঁতী লীগের কার্যকরী সভাপতি সাধনা দাসগুপ্তা, স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু, এনডিপির মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা, বঙ্গবন্ধু শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের সভাপতি মো. মুশফিকুর
রহমান মিন্টু, বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহা. রোকন উ’দ্দিন পাঠানসহ আরও অনেকে। অনুষ্ঠান উপস্থাপন করেন আলোকচিত্র শিল্পী ফজিত শেখ বাবু।