বিজয়ের বাংলা: সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে যুবক রায়হানকে পিটিয়ে হত্যার এক বছর পূর্ণ হচ্ছে সোমবার। গত বছরের ১০ অক্টোবর ওই ফাঁড়িতে ধরে নেওয়ার পর ১১ অক্টোবর লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল।
রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়েরের পর পুলিশের এসআই আকবর হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন আদালতে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার চার্জশিটও গ্রহণ করেন আদালত। তবে এখনো শুরু হয়নি বিচারকাজ।
রোববার সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন করে দ্রুত বিচার কাজ শুরুর দাবি জানানো হয়। ওই কর্মসূচিতে ১৫ মাসের মেয়ে আলফাকে নিয়ে স্ত্রী তাহমিনা আক্তার ও মা সালমা বেগম উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় তারা রায়হান হত্যা মামলার বিচারকাজ দ্রুত শুরু করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন, পলাতক আসামি আব্দুল্লাহ আল নোমানকে গ্রেফতার এবং সব আসামির ফাঁসি দাবি করেন।
মানববন্ধনে বক্তৃতাকালে রায়হানের মা সালমা বেগম বলেন, খুনি নোমানকে দ্রুত গ্রেফতার করে দ্রুত বিচারকার্য সম্পাদনের দাবি জানাচ্ছি। যদিও চার্জশিট প্রদানে ও গ্রহণে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে।
সালমা বেগম বলেন, কোনো খুনির সঙ্গে আপস কিংবা ক্ষমা নয়। তারা কি আমার ছেলে রায়হানের প্রাণ ভিক্ষা দিয়েছিল? যারা প্রাণ ভিক্ষা দেয়নি তারা ক্ষমার যোগ্য নয়? খুনিদের ক্ষমা করলে আরও অনেক পুলিশ ফাঁড়িতে হত্যার ঘটনা ঘটবে।
রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি বলেন, পুলিশ অফিসারসহ খুনিরা সবাই গ্রেফতার হলো, স্বীকারোক্তিও দিল; কিন্তু খুনি নোমান কেন গ্রেফতার হয় না?
২০২০ সালের ১০ অক্টোবর যুবক রায়হানকে ধরে নিয়ে যায় সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়ির পুলিশ। ফাঁড়িতে পিটিয়ে হত্যার পর ১১ অক্টোবর লাশ উদ্ধার হয়। এ নিয়ে দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হলে পুলিশের ৫ সদস্যকে বরখাস্ত করে গ্রেফতার করা হয়।
পরবর্তীতে অভিযুক্তরা আদালতে হত্যার স্বীকারোক্তিও দেয়। তবে হত্যাকাণ্ডের সহযোগী বিতর্কিত সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল নোমান এখনো গ্রেফতার হয়নি। পুলিশ ফাঁড়িতে খুন হওয়া যুবক রায়হান সিলেট নগরীর আখাললিয়া নেহারীপাড়ার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে।