কুমিল্লার চান্দিনায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের উঠান বৈঠকে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ছেলের দশটা মার্ডারের নির্দেশনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সম্প্রতি উপজেলার জোয়াগ ইউনিয়ন নির্বাচনের এক উঠান বৈঠকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর ছেলে মিজানকে
চরম আপত্তিকর বক্তব্য দিতে দেখা যায়।এতে তিনি কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, প্রয়োজনে ১০টা মার্ডার করবেন, মিজান কি জিনিস মানুষ জানে না। মাইর খেয়ে আসা যাবে না, মাইর দিয়ে আসতে হবে। তার জন্য যদি দশটা মার্ডারও করা লাগে তাই
করবেন। আমি বাকিটা দেখব, ইনশাল্লাহ।কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১৩নং জোয়াগ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর উঠান বৈঠকে এভাবেই বক্তব্য দিয়েছেন তার ছেলে মিজানুর রহমান খান।বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর)
সন্ধ্যায় জোয়াগ ইউনিয়নের পাঁচপুকুরিয়া গ্রামের এক উঠান বৈঠকে তার এমন বক্তব্যের ভিডিওটি রাত ১০টার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।এসময় তার পিতা আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সহসভাপতি ইঞ্জি. আবদুল আউয়ালও ওই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।এ সময় তিনি নিজের কর্মী বাহিনীকে উসকানি দিয়ে আরও বলেন, আমি ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছি, যদি আমার লোকদের একফোঁটা রক্ত ঝড়ে, আপনি দশ ফোঁটা রক্ত নিয়ে
আসবেন, বাকিটা আমি দেখবো ইনশাল্লাহ্। ছাড় দেওয়া যাবে না, এক চুল পরিমাণও ছাড় দিব না। মিজান কি জিনিস এখনও জোয়াগের অনেক মানুষ জানে না। জানা উচিত, যখন নমিনেশন নিয়ে আসছি তখন থেকেই জানা উচিত।মিজানের উসকানি
ও প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে হুমকিস্বরূপ বক্তব্যকে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না জোয়াগ ইউনিয়নসহ চান্দিনার মানুষ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওর কমেন্টে ধিক্কার ও নিন্দা জানিয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি
আকর্ষণ করেন নেটিজেনরা।জোয়াগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম সওদাগর আরটিভি নিউজকে বলেন, আমি অসুস্থ বাড়িতেই আছি। ভিডিওটি আমিও দেখেছি কিন্তু বিস্তারিত জানি না। আর মিজান আওয়ামী লীগের কেউ না।
তার বাবা আওয়ামী লীগের প্রার্থী।এ ব্যাপারে থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আরিফুর রহমান আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, ভিডিওটি আমি দেখিনি। যদি এমন বক্তব্য কেউ দিয়ে থাকে তাহলে আইন অমান্য করেছে এবং নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।