পাত্র ছিল না তার পছন্দ। তাই মেয়েকে ঐ ছেলের সঙ্গে মেলামেশা করতে দিতে চাননি মা। মেয়ে ছিল নাছোড় বান্দা। তাই মা সেই পাত্রের সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ করতে অভিনব এক কাণ্ড ঘটিয়েছেন। মেয়েকে নেশামুক্তি কেন্দ্রে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
হ্যাঁ, এমনটাই ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের যাদবপুর থানা এলাকার বাঘা যতীন পল্লীতে। ঐ যুবক এখন থানায় থানায় ঘুরছেন প্রেমিকার সন্ধানে।
ঐ যুবকের অভিযোগ, তরুণীকে জোর করে রাতের অন্ধকারে নেশামুক্তি কেন্দ্রের লোকজন তুলে নিয়ে গেছে। তাকে কারও সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। জানা যায়, ঐ যুবকের নাম রঞ্জন নাথ। বয়স তার ৩৯ বছর।
রঞ্জন নাথ নামে ঐ যুবক বলেন, কয়েক বছর আগে জাতীয় গ্রন্থাগারে ঐ তরুণীর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা দু’জনে যা রোজগার করছি, তাতে ভালোভাবে চলে যাবে ভেবে নিউটাউনে ফ্ল্যাট নিয়ে একসঙ্গে থাকতে শুরু করি। সেখান থেকেই পূজার আগে কয়েক দিনের জন্য বাড়ি গিয়েছিল ও। তার পরেই এমন ঘটনা।’
পুলিশের কাছে অভিযোগ করে রঞ্জন জানান, গত ৭ অক্টোবর নিজের বাড়িতে ফিরেছিলেন ঐ তরুণী। ৯ অক্টোবর তিনি রঞ্জনের সঙ্গে দেখা করতে বের হন। রাতে বাড়ি ফিরে রঞ্জনের সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন। রাত প্রায় ১টার সময় তরুণী ফোনে জানান, কেউ কলিংবেল বাজাচ্ছেন। তাই তিনি ফোন ছেড়ে দরজা খুলতে যাচ্ছেন। তারপর থেকেই তরুণীর খোঁজ নেই।
রঞ্জন বলেন, প্রেমিকার বাড়িতে যাওয়ার পরতার মা জবাদেবী বলেন, মেয়ে রাগ করে বাড়ি থেকে চলে গেছে। অনেক খোঁজাখুঁজির পরে বুঝতে পারি, উনি মিথ্যা বলছেন। শেষে জানতে পারি, ওকে নেশামুক্তি কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। যে মেয়ে চা ছাড়া অন্য কোনো নেশা করে না, তাকে কেন আমার থেকে আলাদা করতে নেশামুক্তি কেন্দ্রে ভর্তি করানো হলো, সেই উত্তর পেতেই থানায় থানায় ঘুরছি। লালবাজারেও অভিযোগ করেছি।
জবাদেবী জানান, ঐ ছেলেটির সঙ্গে মিশে আমার মেয়ে খারাপ হয়ে যাচ্ছে। আমাকে ধরে মারে, বাড়িতে ভাঙচুর করে। কোনো নেশা করে না ঠিকই,তবে মেয়ে মানসিক সমস্যায় ভুগছে। ঐ কেন্দ্রে এককালীন ১২ হাজার টাকা দিতে হয়েছে। মাসে মাসে হয়তো ১০ হাজার টাকা করে দিতে হবে। তাতেই মেয়ে সুস্থ হবে।
নরেন্দ্রপুরের ঐ নেশামুক্তি কেন্দ্র থেকে সুবীর নামে এক ব্যক্তি জানান, নেশামুক্তি কেন্দ্রটিতে নেশাগ্রস্ত আর মানসিক সমস্যায় ভোগা রোগীদের পৃথকভাবে রাখা হয়। এর বেশি কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।