মাসআল্লাহ:১২০ বছরেও খালি চোখে পবিত্র কোরআন পড়েন জোবেদ আলী! ৬০ বছর পেরিয়ে গেলে মৃত্যুর প্রহর গোনা শুরু হয়। নানা রোগে ভুগে অতিষ্ঠ হয় জীবন। অনেকে হাঁটার ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলেন। এই বয়সে পত্রিকা পড়া তো দূরের কথা, অনেকে চোখে চশমা পরেও চলাচল করতে পারেন
না। কিন্তু ৬০-এর দ্বিগুণ বয়স অর্থ্যাৎ প্রায় ১২০ বছর বয়সে প্রতিদিন ফজরের নামাজ শেষে খালি চোখে কোরআন পড়তে পারেন কুড়িগ্রামের জোবেদ আলী। জোবেদ আলী এই বয়সে নিয়মিত নামাজ পড়েন। তার চলাচলে রয়েছে বেশ তেজ। তাই শতবর্ষী মানুষটি কুড়িগ্রামের
আলোচিত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি পান। তাই তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় এবং সংস্কার) শেখ মুজিবুর রহমান এনডিসিও। ওই সময় মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের সচিব ডিসির মাধ্যমে অর্থসহায়তা এবং উপহার
সামগ্রীও পাঠিয়েছিলেন। জোবেদ আলী কুড়িগ্রামের রাজারহাটের সদর ইউপির মেকুরটারী তেলীপাড়া গ্রামে বাসিন্দা। তার বাবার নাম হাসান আলী। স্ত্রীর নাম ফয়জুন নেছা, যার বয়স ৮৭ বছর। ব্যক্তিগত জীবনে জোবেদ আলী তিন ছেলে ও চার মেয়ের বাবা। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী জোবেদ আলীর জন্ম ১৯০০
সালের ২৫ অক্টোবর। কিন্তু বয়স আরো বেশি বলে দাবি করেন তিনি। এই বয়সেও কোরআন পাঠের সক্ষমতার কথা বলতে গিয়ে জোবেদ আলী জানান, যুবক বয়সে নিজের দীঘির মাছ, বাড়িতে পালন করা পশুর মাংস, গরুর দুধ, হাঁস-মুরগির
ডিম নিয়মিত খেতেন তিনি। আবাদি জমির ধানের ভাত, খাঁটি ঘি, সরিষার তেল, রাসায়নিক এবং নিজের উৎপাদন করা সারবিহীন শাকসবজিও খেতেন জোবেদ আলী। ১২০ বছরের জীবনে ছোটখাটো সর্দি-জ্বর ছাড়া বড় ধরনের রোগ-ব্যাধি হয়নি তার। জোবেদ আলী
জানান, ১০০ বছর আগে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা করেছেন। এখন স্পষ্ট উচ্চারণে কোরআন পড়তে পারেন। এমনকি পত্রিকা এবং বইও পড়তে পারেন তিনি। রাতে কুপি জ্বালিয়ে কোরআন পড়া তার খুব প্রিয় কাজ। ধর্মভীরু জোবেদ আলী
জানান, কোনো দিন ফজরের নামাজ কাজা করেননি। ফজরের নামাজের পর নিয়মিত কোরআনও পড়েন। তাই হয়তো আল্লাহ তাকে সুস্থ রেখেছেন বলে তার বিশ্বাস। এজন্য তিনি মাবুদের কাছে লাখো শুকরিয়া জ্ঞাপন করেন।