গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে হবে তা নিয়ে গর্ভবতী মা, পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজন সবারই বিশেষ কৌতূহল থাকে। গর্ভে সন্তান আসার কয়েক মাস পর থেকেই বাড়তে থাকে এই কৌতূহল। আর যদি কোনো সেলিব্রেটি হয় তাহলে তো কথাই
নেই! তেমনই একজন চিত্রনায়িকা পরীমনি। এ বছরের ১০ জানুয়ারি হঠাৎ করেই সবাইকে চমকে দিয়ে মা হওয়ার খবর জানান তিনি। মা হওয়ার সংবাদের সঙ্গেই বিয়ের খবরটি প্রকাশ পায়। জানা গেছে, খুব শিগগিরই দুনিয়ার
আলোয় আসবে পরীর সন্তান।যদিও ছেলে হবে নাকি মেয়ে সে বিষয়ে নিজে থেকে কিছু জানাননি পরীমনি।শুধু বলেছেন, ছেলে না মেয়ে হবে, তা জানি না। জানতে চাইও না। আল্লাহ যা দেবে, তাতেই খুশি। মেয়ে
সন্তান হলে তার নাম রাখবেন রাণী, আর ছেলে হলে নাম হবে রাজ্য।’সন্তান কী হবে তা পরিপূর্ণভাবে মহান আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছাদিন। তবে নিচের অনুমান নির্ভর প্রচলিত ধারণাগুলো থেকে নিজের মতো করে ভেবে নিতে দোষের কিছু নেই!
অনেক সময় মা-খালা বা দাদি-নানিরা গর্ভবতী মায়ের কিছু লক্ষণ দেখে গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে, তা বলার চেষ্টা করেন। যেমন- মর্নিং সিকনেস বেশি হয় মেয়ে হলে। অর্থাৎ বমি বমি ভাব, মাথা
ঘোরার মতো সমস্যা দেখা দেয়। আর ছেলে হলে সাধারণত হবু মায়ের মধ্যে এরকম কোনও সমসম্যাই থাকে না। মেয়ে হলে নাকি মুড সুইংসও বেশি হয়। কথায় কথায় রাগ ও
কান্না পায়। আর ছেলে হলে ঠিক এর উলটোটা হয়ে থাকে। শোওয়ার ধরন দেখেও বোঝা যায় ছেলে না মেয়ে। ছেলে হলে সাধারণত বাঁ দিক ফিরেই শুতে পছন্দ করে হবু মায়েরা। আর মেয়ে হলে ডান দিক ফিরে শুতে নাকি বেশি ভালো লাগে। ত্বক ও চুলে
তেলতেলে ভাব, ব্রণ-র সমস্যা দেখা দিলে ধরে নেওয়া হয় কন্যা সন্তান আসতে চলেছে। আর হবু মা যদি দেখতে আরও সুন্দরী হয়ে যায়, তাহলে পুত্র সন্তান হওয়ার
সম্ভাবনা বেশি থাকে। গর্ভাবস্থায় বেশি করে মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে ইচ্ছে হওয়ার অর্থ হল শরীরের ভেতর কন্যা সন্তান বেড়ে ওঠছে। আর মায়ের যদি খুব ঝাল বা টক খেতে ইচ্ছে করে তাহলে ছেলে হওয়ার
সম্ভাবনা থাকে। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী গর্ভস্থ সন্তানের হৃদস্পন্দন হার যত বেশি হবে, মেয়ে হওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি। বেবি বাম্প দেখেও বোঝা যায় সন্তান
ছেলে না মেয়ে। বেবি বাম্প যদি নীচের দিকে ঝোলা থাকে তাহলে ছেলে হবে বলেই মনে করা হয়। অন্য দিকে, মেয়ে সন্তান থাকলে বেবি বাম্প থাকে পেটের
মাঝামাঝি জায়গায় ও উঁচু হয় বেশি। এছাড়া গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে, তা জানার জন্য আজকাল বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি আবিষ্কার হয়েছে। এর মধ্যে আলট্রাসনোগ্রাফি একটি পদ্ধতি। এ পদ্ধতিটি খুবই সহজ এবং
এর কোনো ক্ষতিকর দিক নেই। আলট্রাসনোগ্রাফি করাতে এসে চিকিৎসকের কাছে প্রায় সব নারী বা দম্পতিই জানতে চান গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে। আলট্রাসনোগ্রাফি
করে গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে, তা দেখা যায়। গর্ভাবস্থার ২০-২২ সপ্তাহ থেকেই তা প্রায় সঠিকভাবে বলে দেয়া যায়। গর্ভের সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে, সেটা
জানা যাবে গর্ভবতী মহিলার রক্তচাপ থেকেই!এমনটা জানিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডার গবেষক রবি রত্নাকরণ। কানাডার মাউন্ট সিনাই হাসপাতালের
এই চিকিৎসক জানিয়েছেন, যদি গর্ভবতী মহিলার রক্তচাপ প্রসবের আগে কম থাকে, তাহলে সাধারণত, সেই মহিলা কন্যা সন্তান প্রসব করেন। আর মহিলার রক্তচাপ যদি বেশি থাকে, তাহলে পুত্র সন্তানের জন্ম হয়।