ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর থেকে একের পর এক সফলতার পাল্লা ভারি করছেন তামিম ইকবাল। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে শ্রীলঙ্কা গিয়েছিলেন তামিম।চোটের কারণে সেই সিরিজ থেকে বাদ পরেছিলেন তৎকালীন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মূর্তজা।
সেই তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে তামিমের নেতৃত্বে ধবল্ধোলাই হয়েছিলো বাংলাদেশ। অর্থাৎ ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে তামিমের যাত্রাটা ছিল ব্যার্থ।তবে দীর্ঘ মেয়াদে অধিনায়কত্ব পাওয়ার পরে তার অভিজ্ঞতা এখন দারুণ।
২০২১ সালে জানুয়ারি মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে পূর্ন মেয়াদে অধিনায়কত্ব শুরু করেন তামিম ইকবাল।তবে তার দু’মাস পরেই নিউজিল্যান্ডের কাছে ধবল্ধোলাই হয় বাংলাদেশ।
তার পর গত দেড় বছরে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তামিমের। পরের পাঁচটি ওয়ানডে সিরিজি জিতেছিল বাংলাদেশ।
তামিমের অধীনে আটটি ওয়ানডে সিরিজ খেলে বাংলাদেশ সিরিজ জিতল উইন্ডিজের বিপক্ষে ২টি, দক্ষিন আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একটি করে মোত ৬ টি সিরিজে ট্রফি নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ।
এর মধ্যে ঘরের মাঠে তিনটি আর বিদেশের মাঠে তিনটি সিরিজ জয় করে বাংলাদেশ। শতাংশের হিসেবে মাশরাফিকেও ছাপিয়ে গেছেন তামিম। ২৩ ম্যাচে দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে ১৪ টি জয় তুলে নিয়েছেন তামিম। শতাংশের হিসেবে যা ৬০.৮৬।
বাংলাদেশের পক্ষে অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ৫০টি ম্যাচ জয় লাভ করা মাশরাফির শতাংশের হিসেবে জয় ৫৮.১৩। মাশরাফি দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ৮৮ ওয়ানডে ম্যাচে।
৪৬.৯৩ শতাংশ জয় নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছেন সাকিব আল হাসান। তিনি ৫০টি ওয়ানডে ম্যাচে অধিনায়কত্ব করে জয় পেয়েছেন ২৩টি। ৬৯টি ওয়ানডে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে ২৯ টি ম্যাচ
জয় নিয়ে হাবিবুল বাশার সুমনের সাফল্য ৪২.০২ শতাংশ। মুশফিকুর রহিম ৩৭ টি ম্যাচে অধিনায়কত্ব করে জয় পেয়েছেন ১১টি ম্যাচ। তার সাফল্যা ৩১.৪২ শতাংশ।