বিজয়ের বাংলা:
মহানবী (সাঃ) ১৪০০+ বছর আগে উম্মতদের বলেছেন পঙ্গপাল খেতে এটি পুষ্টিকর ও হালাল।মহানবী মুহাম্মদ (সাঃ) ১৪০০+ বছর আগে উম্মতদের বলেছেন, পঙ্গপাল খাওয়ার জন্য, যা মুসলিমদের জন্য হালাল, আজ বিজ্ঞান বলছে তা সত্যিই পুষ্টিকর !
হাদিসঃ
ইবনু ‘উমার (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ “খাদ্যরূপে দু’প্রকারের মৃত প্রাণী এবং দু’প্রকার রক্তকে আমাদের মুসলিমদের জন্য হালাল করা হয়েছে। দু’প্রকার মৃ’ত প্রাণী হচ্ছে: টিড্ডি (পঙ্গপাল) ও মাছ এবং র’ক্তের
দু’প্রকার হচ্ছে হালাল প্রাণীর কলিজা এবং হৃৎপিণ্ড।”(বুখারী ৫৪৯৫, মুসলিম ১৯৫২, মুসলিম ১৮২১, ১৮২২, নাসায়ী ৪৩৫৬, ৪৩৫৭, আবূ দাউদ ৩৮১২, আহমাদ ১৮৬৩৩, ১৮৬৬৯, দারেমী ২০১০, বুলুগুল মারাম: ১৩)
অন্যত্র পাওয়া যায়:
আব্দুল্লাহ ইবনে আবু আওফা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমরা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে থেকে সাতটি যুদ্ধ করেছি, তাতে আমরা পঙ্গপাল খেয়েছি।’
অন্য বর্ণনায় আছে, ‘আমরা তাঁর সাথে পঙ্গপাল খেয়েছি।’*[অর্থাৎ পঙ্গপাল খাওয়া হালাল এবং তা মাছের মত মৃতও হালাল]
(সহীহুল বুখারী ৫৪৯৫, মুসলিম ১৯৫২, তিরমিযী ১৮২১, ১৮২২, নাসায়ী ৪৩৫৬, ৪৩৫৭, আবূ দাউদ ৩৮১২, আহমাদ ১৮৬৩৩, ১৮৬৬৯, ১৮৯০৮, দারেমী ২০১০)
বাস্তবতাঃ
কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের পূর্ব দিকে উত্তর কিভুর রাজধানী গোমায় পঙ্গপাল খাবার হিসাবে দারুন জনপ্রিয়। রুক্ষ এই অঞ্চলে বহু মানুশ দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস করেন। তাঁদের খাদ্যাভাসে তাই বিভিন্ন পোকা জায়গা
পেয়েছে। ঝিঝি পোকা, গঙ্গাফড়িং, মথের লার্ভা, পঙ্গপাল বাজারে বিক্রি হয়। পঙ্গপালের রেসিপি সেখানে সব থেকে বেশি জনপ্রিয়। মুচমুচে করে ভেজে বা সেদ্ধ করে অথবা ভাপা। পঙ্গপাল অনেকভাবেই নাকি রান্না করা যায়। বর্তমানে পাকিস্তানেও
পঙ্গপালের চাষ হচ্ছে। এশিয়ার বেশ কিছু দেশে পঙ্গপাল বেশ উপাদেয় ডেলিকেসি। মধ্যপ্রাচ্যে আবার পঙ্গপাল খাওয়ার রীতি রয়েছে। আফ্রিকার দেশগুলিতে আবার খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গেই ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে নানা রকমের পোকা। তার মধ্যে
রয়েছে পঙ্গপালও। সৌদি আরবে রমজানের
সময় পঙ্গপাল রেঁধে খাওয়া হয়। এটা নাকি তাদের রীতির মধ্যেই পড়ে। ২০১৪ সালে আল-কাসিম এলাকায় পঙ্গপাল খাওয়ার অভ্যাস এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে শক্ত হাতে হাল ধরতে হয় স্বাস্থ্য মন্ত্রককে।
ইয়েমেনিরা আবার সরকারি নিষেধ অমান্য করেই দিব্যি পঙ্গপাল রান্না করে খেয়ে চলেছে। মরক্কোতে তো পঙ্গপাল রান্নার বিশেষ রেসিপিও রয়েছে। আরব, মিশর, মরক্কোর বাজারে ভাল দামেই পঙ্গপাল কেনাবেচা চলে। তার রান্নারও অনেক ধরন আছে।
বিজ্ঞান যা বলছেঃ
পোকা খাওয়ার অভ্যাসকে বলে এন্টোমোফ্যাগি। মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা, এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড-সহ বিশ্বের নানা দেশের খাদ্যাভাসেই পোকা রয়েছে। সমীক্ষা বলছে ৮০ শতাংশ মানুষ ‘এন্টোমোফ্যাগাস’।
হাজারেরও বেশি ধরনের পোকা রয়েছে তাদের খাবারের তালিকায়। মেক্সিকোতে পুষ্টিকর খাবার হিসেবে পোকার চল রয়েছে।
অমেরুদণ্ডি সন্ধিপদ পঙ্গপালের অনেক প্রজাতি রয়েছে। তবে মূলত ডেজার্ট লোকাস্ট দেশে দেশে ঘুরে বেড়ায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতি ১০০ গ্রাম পঙ্গপালে প্রায় ১৩-২৮ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যাবে। ডেসার্ট পঙ্গপালের প্রতি ১০০ গ্রামে ফ্যাট রয়েছে ১১.৫ গ্রাম। কোলেস্টেরল
২৮৬ মিলিগ্রাম। ফ্যাটি অ্যাসিডও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। শরীরে থাকা ক্ষতিকর ব্যকটেরিয়াকে মারতে সাহায্য করে পঙ্গপাল। আবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। বিভিন্ন প্রজাতির পোকার মধ্যে চিটিন জাতীয় একপ্রকার ফাইবার রয়েছে। এই ফাইবার হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
প্রমানঃ
SURPRISING HEALTH BENEFITS OF EATING GRASSHOPPERS.
See Proof news
অন্য মুসলিমের জানার জন্য শেয়ার করে, সওয়াব অর্জন করুন।