অবশেষে শিরোপা খরা কাটাল ইংল্যান্ড। ওয়েম্বলিতে জার্মানিকে ২-১ গোলে হারিয়ে, নারী ইউরোতে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হলো ইংলিশরা। ১৯৬৬ সালে ফিফা বিশ্বকাপ জয়
ছাড়া ফুটবলে আর কোনো অর্জন ছিল না ইংল্যান্ডের। তবে ৫৬ বছরের দুঃখ ঘুচিয়ে ইংলিশদের উচ্ছ্বাসে ভাসালেন নারী ফুটবলাররা। ওয়েম্বলির ফাইনালে ফেভারিট ছিল ৮ বারের চ্যাম্পিয়ন জার্মানি। কিন্তু ঘরের
মাঠে শক্তিশালী জার্মানদের ছাড় দেয়নি লায়নেসরা। নির্ধারিত সময় শেষ করে অতিরিক্ত মিনিটের ম্যাচেও ১-১ এ সমতায় ছিল ম্যাচ। ১০৯ মিনিট পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে গোলের দেখা পাচ্ছিল না কেউ। অবশেষে ম্যাচের ১১০ মিনিটে ইংলিশদের
কাঙ্ক্ষিত গোল এনে দেন বদলি হিসেবে নামা ক্লোয়ে কেলি। আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়ে গোটা স্টেডিয়াম। নারীদের ইউরো জয়ের পর এখন যেনো উৎসবের দেশ ইংল্যান্ড। ম্যাচের
ইংলিশদের আনন্দের শুরুটা করেছিলেন এলা টুনি। ম্যাচের ৬২ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে কেইরা ওয়ালশের পাস থেকে বল দখলে নিয়ে একক নৈপুণ্যে প্রতিপক্ষের ডি বক্সে ঢুকে
পড়েন তিনি। তার পিছে পিছে ছুটতে থাকা জার্মান রক্ষণভাগের ফুটবলাররা। গোল বার ছেড়ে টুনিকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেন গোলরক্ষক। কিন্তু জার্মানদের কোনো প্রচেষ্টাই আটকে রাখতে
পারেনি টুনিকে। গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে এ ইংলিশ মিডফিল্ডার বল জড়ান জালে। ম্যাচের ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে জার্মানরা। একাদশে একাধিক পরিবর্তন আনেন কোচ। শেষে ম্যাচের ৭৯ মিনিটে
সমতায় ফেরে জার্মানি। দলকে লড়াইয়ে ফেরান লিনা ম্যাগগাল। তাকে অ্যাসিস্ট করেন দ্বিতীয়ার্ধে বদলী হিসেবে নামা তাবেয়া ওয়াবমুথ। এরপর আক্রমণ, পাল্টা-আক্রমণে ম্যাচজুড়ে উত্তেজনা
ছড়িয়েছে দুই দলের ফুটবলাররা। স্নায়ুচাপ বেড়েছে মাঠে খেলা দেখতে বসা সমর্থকদের। কিন্তু ম্যাচের নির্ধারিত সময়, অতিরিক্ত সময় গড়িয়েও কেউ পাচ্ছিল না গোলের
দেখা। শেষ পর্যন্ত ইংলিশদের সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটান কেলি। মুহূর্তে উৎসবের নগরীতে পরিণত হয় লন্ডন। এর আগে গত বছর উৎসবের প্রস্তুতি নিয়ে হতাশ হয়ে ফিরতে
হয়েছিল ইংলিশ সমর্থকদের। ওয়েম্বলিতেই হ্যারি কেইনরা ইউরোর ফাইনালে ইতালির বিপক্ষে হেরেছিল টাইব্রেকারে। সে আক্ষেপ অবশেষে ঘুচিয়েছে মেয়েরা।