সম্প্রতি মনোয়ার হোসেন ডিপজলের ছেলের বিয়েতে ওমর সানী ও জায়েদ খানকে ঘিরে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। স্ত্রী চিত্রনায়িকা মৌসুমীকে হয়রানি ও বিরক্ত করার কারণে স্বামী চিত্রনায়ক ওমর সানী সেই অনুষ্ঠানে জায়েদ খানকে চড় মারেন বলে শোনা যায়।
অন্যদিকে ওমর সানীকে পিস্তল বের করে মারার হুমকি দেন জায়েদ। এরপর ওমর সানী বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেন।
পরের দিন মৌসুমী জায়েদ খানের পক্ষে একটি অডিও বার্তা দেন। ওমর সানীও মৌসুমীর দেওয়া অডিও বার্তা বিশ্লেষণ করে একটি ভিডিও বার্তা দেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে সম্পর্কের আরও অবনতি হয়। এ সময় এগিয়ে আসেন তাদের সন্তান ফারদিন।
অবশেষে জায়েদ খানকে কেন্দ্র করে মৌসুমী ও ওমর সানীর মধ্যে সম্পর্কের যে দূরত্ব প্রকাশ্যে আসে, সেটার অবসান হয়েছে। সম্প্রতি মৌসুমী, ওমর সানীসহ পরিবারের সবার
একসঙ্গে খাবার টেবিলের ছবি ও ভিডিও প্রকাশিত করেছেন ওমর সানী। ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, তাদের মধ্যে এখন কথাবার্তা চলছে। একই সঙ্গে তারা বসছেন, আড্ডা দিচ্ছেন।
কিন্তু এই অবস্থার মধ্যে তাদের দুজনের আগের দেওয়া অডিও ও ভিডিওর এডিট করা বক্তব্যে কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছেন। আর তাতেই খেপেছেন
ওমর সানী। দিয়েছেন অডিও বার্তা। অডিও বার্তায় তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা কি জানেন, আমাদের মধ্যে যে সমস্যা ছিল, তা সবার দোয়া, ভালোবাসায় মিটে গেছে। আমরা এখন একই ছাদের নিচে আছি, আমরা একসঙ্গে আছি, এক ঘরেই আছি।
আমি, মৌসুমী, ছেলেমেয়ে ফারদিন, ফাইজা, আমার ছেলের বউ আয়েশা-আমরা একসঙ্গে আছি। ভালো আছি, সুখে আছি আমরা।’ মৌসুমীর অডিও বার্তায় ওমর সানীকে
‘ভাই’ বলা প্রসঙ্গে বলেন, রাগ করে ও অনেক সময় আমাকে ভাই বলে, আমিও তাকে আপনি করে বলি, ম্যাডাম বলি এতে তো কোনো সমস্যা দেখছি না।’
অডিও বার্তার একাংশে প্রশ্ন রেখে ওমর সানী বলেন, ‘স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কিছুটা খুনসুটি, হালকা দূরত্ব বা কাছে আসা কার না হয়। আপনি কি শুনছেন আপনার মা–বাবার মধ্যে এটি ছিল না? আপনার
পাড়া-প্রতিবেশীর মধ্যে এটি দেখছেন না? বা আপনার নিজের মধ্যে কি এটি নেই? আমরা কি দুধে ধোয়া তুলসী পাতা? না, আমরা কেউই তা নয়। কেন মৌসুমীকে নিয়ে এসব বলছেন?