বিজয়ের বাংলা:
বিশ্ববাজারে ১ দিনের ব্যবধানে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম আবারো আরো কমেছে। এই তেলের দর সাড়ে তিন শতাংশ কমে ব্যারেলপ্রতি ৭৫ ডলারে নেমে এসেছে। যা গত ২ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। গতকাল শনিবার অপরিশোধিত ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম আগের
দিনের চেয়ে ২ ডলার ৭৩ সেন্ট বা ৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ কমে ব্যারেলপ্রতি ৭৫ ডলার ৬৮ সেন্টে বিক্রি হয়েছে। আর ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম একই হারে কমে ৭৮ ড’লার ৪৬ সেন্টে বিক্রি হয়েছে। খবর রয়টার্সের। জানা যায়, যু’ক্তরাষ্ট্র এবং চীন তাদের সংরক্ষিত তেল বাজারে ছাড়ছে। আর তাই বিশ্ববাজারে পণ্যটির দামে পতন শুরু হয়েছে।
আকস্মিক তেলের দামের এই পতন সবাইকে অবাক করে দিয়েছে। কমার কারণ নিয়েও বিশ্লেষণ চলছে। রয়টার্স জানিয়েছে, এটি সম্ভব হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অ’নুরোধ চীন রেখেছে বলেই। বাইডেন প্রশাসন তার মিত্রদের কাছে অনুরোধ করেছিল যাতে দেশগুলো তাদের সংরক্ষিত
(রিজার্ভ) তেল বাজারে ছেড়ে দেয়। আর সবাইকে অবাক করে দিয়ে চীন এই কাজটিই করেছে। যুক্তরাষ্ট্র-চীন অনেক দিন ধরেই বাণিজ্যযুদ্ধে লিপ্ত। কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ এবং ট্রাম্পের পরাজয় সেই বাণিজ্যযু’দ্ধ কিছুটা কমিয়ে রাখলেও একেবারেই শেষ হয়ে যায়নি। চীন যে যুক্তরাষ্ট্রের এই অনুরোধ রাখবে তা অনেকেই আশা করেননি, তবে চীনের এই সিদ্ধান্ত বাজারকে
প্রভাবিত করেছে; কমছে তেলের দর। ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকেই বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়তে শুরু করে। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও টানা বেড়েছে তেলের দাম। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করায়
তা আরও ঊর্ধ্বমুখী হয়। ২৭ অক্টোবর অপরিশোধিত জ্বা’লানি তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৮৫ ডলার ছাড়িয়ে ৮৫ দশমিক শূন্য ৭ ডলারে ওঠে। এরপর থেকেই তা কমতে থাকে।সূত্র-যায়যায়দিন।