বিজয়ের বাংলা:একসময় অভিনয়, মডেলিং, নাচ এবং গান শিখেছিলেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী তরুণী প্রি’সিলা নাজনীন ফাতেমা। অভিনয় এবং মডেলিং বিষয়ে কোর্স করেছিলেন নিউইয়র্ক ফিল্ম একাডেমি থেকে। গান এবং নাচের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন স্কুলে। গান গেয়ে নিউইয়র্কে পুরস্কারও পেয়েছিলেন তিনি।
এছাড়াও ব্রডওয়ে শোতে পারফর্মের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তব সব ছাপিয়ে প্রিসিলা এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ পরিচিত মুখ। তিনি আলোচনায় এসেছেন মূলত নিজের ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউব চ্যানেলে সমাজ সচেতনতামূলক
এবং অনুপ্রেরণাদায়ক বিভিন্ন ভিডিও বানিয়ে। বিভিন্ন সময় অবহেলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে এরইমধ্যে বেশ নাম কু’ড়িয়েছেন তিনি। তার উপস্থাপনারও প্রশংসা করে থাকেন সবাই। এবার শীতের মধ্যে দেশের গরিব, অসহায় এবং নিম্নআয়ের মানুষদের পাঁচশর বেশি জ্যাকেট এবং গরম কাপড় উপহার দিয়েছেন প্রিসিলা। গত ডিসেম্বর থেকে
চলতি জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলার গরিব, অসহায় এবং নিম্মআয়ের মানুষদের তার পক্ষ থেকে এসব উপহার পৌঁছে দেওয়া হয়। তবে ঢাকার রাস্তায় কাজ করা রিকশাওয়ালা, পরিচ্ছন্নতা কর্মী প্রমুখের মাঝে জ্যাকেট বেশি বিতরণ করা হয় বলে জানান এই মা’নবিক কন্যা। তাছাড়া রাজশাহী ইউনিভার্সিটি এলাকায় প্রিসিলার পক্ষ থেকে এবার পর পর দুই বার শীতবস্ত
বিতরণ করা হয়। যার মধ্যে ছিল বড়দের জ্যাকেট, মহিলাদের জ্যাকেট এবং শিশুদের শীতের কাপড়। রংপুরেও তিন বার শীতবস্ত বিতরণ করা হয় প্রিসিলার পক্ষ থেকে। যার মধ্যে ছিল বড়দের জ্যাকেট, মহিলাদের জ্যাকেট, শিশুদের শীতের কাপড় এবং কম্বল। হবিগঞ্জ, কুয়াকাটা, বান্দরবান, কক্সবাজার, কুমিল্লা, টাঙ্গাইল, বগুড়া, ঝি’নাইনাইদহ প্রভৃতি জেলাতেও শীতের জ্যাকেট,
অন্য গরম কাপড় এবং কম্বল পাঠান প্রিসিলা। কিছু কিছু জায়গায় নগদ টাকাও পাঠান তিনি। প্রিসিলা গণমাধ্যমকে বলেন, বিদেশে থাকলেও দেশের এসব মানুষদের জন্য আমার খারাপ লাগে। এই তীব্র শী’তের মধ্যেও জীবন জীবিকার প্রয়োজনে রাস্তায় বের হয়ে কাজ করতে হচ্ছে তাদের। ফলে জ্যাকেট এবং শীতবস্ত্রগুলো পেয়ে
তাদের মুখে কিছুটা হলেও হাসি ফুটেছে। যা আমাকেও আনন্দ দিয়েছে। তিনি আরও যোগ করেন, শীতের কা’পড়গুলো ভালো মানের হওয়ায় অনেকেই বেশ খুশি হয়েছেন। কেউ কেউ তো এটা ব্যবহারও করতে চাচ্ছেন না। আমাকে তারা বলেছেন, বি’শেষ কোন জায়গায় বেড়াতে যাওয়ার সময় এটা পরবেন। বিষয়গুলো সত্যি ভালো লাগার মতো।