পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও আশুগঞ্জ উপজেলার ১৮টি ই’উনিয়নের মধ্যে ছয়টিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এবং ১২টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বে’সরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের ভা’ঙচুর ও অগ্নিসংযোগের
১৪ মামলায় কারাগারে থাকা ইসলামী ঐক্যজোটের যুগ্ম সাধারণ স’ম্পাদক মনিরুল ইসলাম চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন।এই ফলাফল রীতিমতো এলাকাবাসীকে চমকে দিয়েছে। বুধবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কারাগারে বসেই ব্রা’হ্মণবাড়িয়া সদর
উপজেলার তালশহর পূর্ব ইউনিয়ন থেকে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদে (আনারস প্রতীক) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ম’নিরুল ইসলাম। তিনি ৩ হাজার ৯৬১ ভোট পেয়ে বি’জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুস সালাম পেয়েছেন ২ হাজার ৪৭২ ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কা’রাগার সূত্রে জানা গেছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে গত বছরের ২৬-২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রা’হ্মণবাড়িয়ায় বেশ ক’য়েকটি সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকদের সহিংসতার মামলার আসামি
মনিরুল। এই ঘটনায় পৃথক ১৪টি মামলার আসামি হয়ে গত ব’ছরের ২২ জুন থেকে তিনি কারাগারে আছেন। ইতোমধ্যে ১৩টি মামলায় জামিন হয়েছে মনিরুলের। তবে একটি মামলায় এখনও জামিন না হওয়ায় কারামুক্ত হতে পারেননি। কারাগারে
বসেই ভোটে লড়েছেন ইসলামী ঐক্যজোটের এই নেতা। তার পক্ষে পরিবারের সদস্য ও দলীয় নেতাকর্মীরা নির্বাচনি প্রচার চালিয়েছেন। এই বিষয়ে ব্রা’হ্মণবাড়িয়া জেলা ইসলামী ঐক্যজোটের যুগ্ম সম্পাদক মুফতি এনামুল হাসান বলেন,
মনিরুল ইসলাম পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি ইসলামী ঐ’ক্যজোট এবং ছাত্র খেলাফতের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ নি’র্বাচনি প্রচার চালিয়েছে। তিনি এলাকায় তুমুল জনপ্রিয়। সে জন্যই কারাগারে থেকেও নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন।