নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কোচিং বা প্রাইভেটের পড়াতে পারবেন না শিক্ষকরা। তকে অন্য প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ ১০ জনকে কোচিং করানো যাবে। শিক্ষা আইনের খসড়ায় এই সুযোগ রাখা হয়েছে। খ’সড়াটি চূড়ান্ত করে পাঠানো হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ
বিভাগে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এটি আইন মন্ত্রণালয়ে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য পাঠানো হবে। এরপর সেটি যাবে জাতীয় সংসদে। এ বিষয়ে সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শি’ক্ষকদের কোচিং বা প্রাইভেট একেবারে বন্ধ করে
দেওয়া হবে না। ক্লাসে কিছু শিক্ষার্থী দুর্বল থাকে তাদের বাড়তি চর্চা করতে হয়। যাদের প্রয়োজন হবে তারা এসব স্থানে যাবে। তাতে কোনো বাধা থাকবে না। তিনি বলেন, সব শি’ক্ষার্থীর অভিভাবকদের পক্ষেও পড়াশোনার
বিষয়ে সন্তানকে প্রয়োজনীয় সময় দেওয়া সম্ভব হয় না। এ ক্ষেত্রে তারা কোচিং–প্রাইভেটে পড়তেই পারে। কিন্তু সমস্যা হলো, অনেক শিক্ষক ক্লাসে ঠিকমতো না পড়িয়ে তাদের কাছে শিক্ষার্থীদের পড়তে বাধ্য করেন, সেটি অনৈতিক। এ’টিকেই আমরা বন্ধ করতে চাই। এদিকে শিক্ষা
আইনের খসড়ায় দেখা গেছে, বিভিন্ন কোচিং সেন্টার ও সহায়ক বইয়ের বৈধতা দিয়ে চূড়ান্ত হচ্ছে শিক্ষা আইন-২০২১। এ ক্ষেত্রে বাণিজ্যিকভাবে পরিচালিত একাডেমিক ও ভর্তির জন্য যে সব কোচিং সেন্টার রয়েছে সে’গুলোকে বৈধতা দেওয়া হচ্ছে। তবে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
বা শিক্ষক যদি শিক্ষার্থীদের নোট বই, গাইড বই ক্রয় বা পাঠে বাধ্য করেন তা অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান, ব্যবস্থাপনা কমিটি বা পরিচালনা পর্ষ’দের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। তবে সরকারের অনুমোদন সা’পেক্ষে সহায়ক বই মুদ্রণ, বাঁধাই, প্রকাশ ও বাজারজাত করা যাবে।