চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী থানার ঝাউতলা রেলক্রসিংয়ে ট্রেন, বাস ও অটোরিকশার ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনায় গেটম্যানের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি করেছে রেলওয়ে পুলিশ।স্থানীয়রা জানান, ট্রেন আসার প্রায় ২০ মিনিট আগে গেটের
পশ্চিম পাশের ব্যারিয়ার নামিয়ে চা খেতে গিয়েছিলেন দায়িত্বরত গেটম্যান আলমগীর ভূঁইয়া। কিন্তু পূর্ব পাশের ব্যারিয়ার খোলা পেয়ে সেদিক দিয়ে বাস ও অটোরিকশা রেললাইনের ওপর উঠে পড়ে। তখনই নাজিরহাট থেকে আসা ডেমু ট্রেনটি গাড়ি দুটিকে ধাক্কা দেয়।এ ঘটনায় এখন
পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। তারা হলেন- নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ফয়জুর রহমানের ছেলে পুলিশ সদস্য মনিরুল ইসলাম, নগরীর পাঁচলাইশ থানার হামজারবাগ এলাকার সৈয়দ বাহাউদ্দিন আহমেদ ও পাহাড়তলী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষার্থী সাতরাজ শাহীন। এছাড়া আহত
হয়েছেন আরো অন্তত আটজন।রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ঝাউতলার এ রেলক্রসিংয়ে ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালনে রয়েছেন তিন গেটম্যান। আলমগীর ভূঁইয়া বাদে অন্য দুজন হলেন- মাকসুদ ও আজাদ।স্থানীয়দের অভিযোগ, সবসময় দায়িত্বে অবহেলা করতেন আলমগীর। ট্রেন আসার
সময় গেটের একপাশ বন্ধ রাখলেও অন্য পাশ খোলা রাখতেন তিনি। এছাড়া আশপাশে থাকা বস্তির ছোট ছেলেদের ৫-১০ টাকা দিয়ে করাতেন গেট খোলা-বন্ধের কাজ।এ বিষয়ে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, গেটম্যানের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার
অভিযোগটি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে এর সত্যতা পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এদিকে, ঘটনাটির তদন্তে চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল গফুরকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুজন হলেন- সহকারী পুলিশ সুপার (সদর) মোহাম্মদ ইব্রাহীম ও রেলওয়ে থানার ওসি সরোয়ার আলম।