এশিয়া কাপে সুপার ফোরে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে কোহলি বলেছিলেন, ‘টেস্টে অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর মাত্র একজন মানুষের কাছ থেকে আমি বার্তা পেয়েছিলাম,
যার সঙ্গে আমি আগে খেলেছি-এম এস ধোনি। অনেকেই টিভিতে অনেক পরামর্শ দিয়েছেন। তাদের অনেকের কাছেই আমার ফোন নম্বর আছে। কেউ একটু খোঁজও নেননি। আপনি যদি সারা
দুনিয়াকে সামনে রেখে পরামর্শ দেন, আমার কাছে সেটার কোনো মূল্য নেই। আমার উন্নতির জন্য কিছু বলতে চাইলে আলাদাভাবে আমার সঙ্গে কথা বলুন, এমনটাই আমি চাই।’
কোহলির এমন মন্তব্যে নাখোশ বিসিসিআই। বিসিসিআইয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার দাবি, কোহলি মিথ্যা বলেছেন। বোর্ডের সবাই কোহলিকে সমর্থন দিয়েছেন, পাশে থেকেছেন। কোহলি ঠিক কী নিয়ে অভিযোগ করছেন, সেটাও বুঝতে পারছেন না তিনি,
‘কোহলি সবার সমর্থন পেয়েছে। সতীর্থদের থেকে শুরু করে বিসিসিআইয়ের সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি মানুষ কোহলির পাশে ছিল। সে সত্য বলছে না।’ সংবাদমাধ্যম ইনসাইড স্পোর্টকে এ কথা বলেছেন বিসিসিআইয়ের সেই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
ব্যাটে রানখরা ও নানা পদের আলোচনা কোহলির মানসিক দৃঢ়তাকে একটু হলেও নড়বড়ে করে দিয়েছিল। ঝড় চলেছে কোহলির মনের ভেতর। তাই এশিয়া কাপের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ে সফরে বিশ্রাম দেওয়া হয়।
ক্রিকেটের প্রতি নিজের তীব্র ক্ষুধা ফিরে পেতেই এই সময়ে ছুটি দেওয়া হয়েছিল কোহলিকে। বিসিসিআইয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সে কথাই মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘কোহলি ঘন ঘন বিশ্রাম পেয়েছেন। তাকে
পুনরুজ্জীবিত করার জন্য সময় দেওয়া হয়েছে। টেস্ট অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর পর সামাজিক মাধ্যমে বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত সবাই তাকে শুভেচ্ছা জানান। তাই জানি না, সে কার বিষয়ে কথাগুলো বলেছে।’