পবিত্র মক্কা নগরীর মসজিদুল হারামে মুসল্লিদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর নানা ধরনের সেবা দেওয়া হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে এখন মুসল্লিদের নানা প্রশ্নের উত্তর সেবা দিতে ব্যবহৃত হচ্ছে টাচ স্ক্রিন রোবট। এসব রোবট বাংলা-ইংরেজিসহ অন্তত ১১ ভাষায় মুসল্লিদের প্রশ্নের উত্তর দেবে।
সৌদি সংবাদমাধ্যম আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, পবিত্র কাবা প্রাঙ্গণে থাকা রিমোট কন্ট্রোল এসব রোবট আরবি, ইংরেজি, ফ্রেঞ্চ, রুশ, ফার্সি, তার্কিশ, চাইনিজ, বাংলা ও হাউসাসহ মোট ১১ ভাষায় ইসলামী বিষয়ে নানা ধরনের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ওমরাযাত্রীদের সহায়তা
করবে।n২১ ইঞ্চির টাচস্ক্রিনের রোবটের সাহায্যে মুসল্লিরা যেকোনো উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে করণীয়, নানা ধরনের দিকনির্দেশনা ও মতপ্রকাশে সহায়তা পাবে। স্মার্ট স্টপেজ সিস্টেম অনুসরণ করে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির রোবটটি সহজেই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলাফেরা করতে পারে। অনেক আগে থেকেই পবিত্র
মসজিদুল হারাম থেকে পরিচালিত দূরশিক্ষণের মাধ্যমে পবিত্র কোরআন ছয় ভাষায় পাঠদান করা হয়। এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে স্মার্ট কোরআন ও ই-ডিভাইস চালু রয়েছে। এ কারণে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরাও ব্রেইল পদ্ধতিতে কোরআন শরীফ পাঠ করতে পারেন। গত বছর মুসল্লিদের
স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বারোপ থেকে করোনা সংক্রমণ রোধে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির রোবটের মাধ্যমে মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদে জমজম পানি বিতরণ করা হয়েছে। মসজিদুল হারামের ওমরাহযাত্রী ও মুসল্লিরা খুব সহজেই রোবটের চলন্ত যান থেকে জমজম পানির বোতল সংগ্রহণ
করতে পারবেন। তা সবার আশাপাশ দিয়ে পানির বোতল নিয়ে চলাফেরা করে। তাছাড়া পবিত্র মসজিদুল হারামে জীবাণুমুক্ত রাখতে ১০টি অত্যাধুনিক রোবট চালু করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। করোনা সংক্রমণ রোধে স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র ব্যবহারের সাহায্যে মুসল্লিদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। অত্যাধুনকি এ রোবটের সাহায্যে একাধারে ৫-৮ ঘণ্টা জীবাণুমুক্ত রাখার কাজ করা যাবে।
সূত্র: আরব নিউজ