গত কয়েকদিন ধরেই তাপমাত্রার পারদ নিম্নমুখী। বেলা গড়িয়ে দুপুর হলেও দেখা মিলছে না সূর্যের। সেই সঙ্গে বয়ে যাওয়া উত্তরের শীতল বাতাসে কাবু লোকজন। এমন অবস্থায়
মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ঢাকায়। শনিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে রাজধানী ঢাকায় এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। চলতি
মৌসুমে এটিই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনিবার (৭ জানুয়ারি) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক এ তথ্য জানান।
ওমর ফারুক বলেন, ‘আজ সারাদেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গাতে ৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ঢাকাতে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আপাতত দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ফলে
আগামীকাল থেকেই দিনের কুয়াশা অনেকটা কমে যাবে। তবে রাতের কুয়াশা থাকবে। মূলত আগামীকাল থেকে তাপমাত্রা একটু বাড়তির দিকে থাকলেও ১০ অথবা ১১ জানুয়ারি তাপমাত্রা ব্যাপকভাবে কমতে থাকবে। তার মানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রিতে নামতে পারে।’
শৈত্যপ্রবাহের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ঢাকা, খুলনা, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ১৭টি জেলায় জায়গায় শৈত্যপ্রবাহ আছে। ফরিদপুর, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, রাজশাহী, ঈশ্বরদী, বগুড়া, নওগাঁ, নাটোর, দিনাজপুর, নীলফামারী, পঞ্চগড়, সাতক্ষীরা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া এবং বরিশালের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।’
এছাড়া দেশের বিভিন্ন এলাকায় রেকর্ড করা সর্বনিম্ন তাপমাত্রার তথ্যে বলা হয়েছে, যশোরে- ৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মাদারীপুরে- ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাজশাহীতে- ৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কুষ্টিয়ায়- ৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ঈশ্বরদীতে- ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, দিনাজপুরে- ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ফরিদপুরে- ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, নওগাঁয়- ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, পঞ্চগড়ে- ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বরিশালে- ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, নীলফামারীতে- ৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সাতক্ষীরায়- ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কিশোরগঞ্জে- ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সিরাজগঞ্জে- ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বগুড়ায়- ১০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।