করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশে স্কুল-কলেজ বন্ধসহ নতুন করে একাদিক বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। আজ রোববার (২ জানুয়ারি) রাজ্যের
মুখ্যসচিব এইচকে হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী করোনার নতুন বিধি-নিষেধ আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন।এদিকে করোনার দৈন্দিক শনাক্তের হার উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় স্কুল-কলেজসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ,
রাত্রিকালীন এবং সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলোতে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কার্যক্রম চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি রোববার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে। এছাড়া হরিয়ানা,
দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশসহ কয়েকটি প্রদেশের পদাঙ্ক অনুসরণ করে পশ্চিমবঙ্গেও রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করা হয়েছে। ওই সময় শুধু জরুরি পরিষেবার কাজে নিয়োজিত যানবাহন
চলাচল করতে পারবে।সোমবার থেকে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি সুইমিংপুল,জিম,স্পা এবং বিউটি পার্লারগুলোও বন্ধ থাকবে। সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলোতে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কার্যক্রম
চালানো ছাড়াও সব ধরনের প্রশাসনিক বৈঠক ভার্চুয়ালি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করতে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কলকাতার মেট্রোরেল সার্ভিস, লোকাল ট্রেন, গণপরিবহণ,
রেস্টুয়েন্ট, সিনেমাহল ও বারগুলোতেও অর্ধেক আসন খালি রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে দূরপাল্লার ট্রেন স্বাভাবিক নিয়মেই চলবে। দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, শনিবার পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে
আরও ৪ হাজার ৫১২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১৩ হাজার ৩০০ জনে পৌঁছেছে; যা ভারতের সব রাজ্যের হিসেবে মহারাষ্ট্র এবং কেরালার পর তৃতীয় সর্বোচ্চ। পশ্চিমবঙ্গে করোনাভাইরাসের অতি-সংক্রামক ধরন ওমিক্রনে এখন পর্যন্ত অন্তত ২০ জন আক্রান্ত হয়েছেন।