শাহ আলম (২৮) নামের এক ব্যাক্তি বুধবার (২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১টা ১৫ মিনিটে কুমিল্লা সদরের চাঁনপুর গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। জানা যায়, তিনি কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর
সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল (৫০) ও আওয়ামী লীগ কর্মী হরিপদ সাহাকে (৫৫) এলোপাতাড়ি গুলি করে খুনের ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি। নিহত শাহ আলম ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সুজানগর পূর্বপাড়া এলাকার মৃত জানু মিয়া ছেলে। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা
রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) পরিমল দাস। তিনি জানান, গোপন সূত্রে সংবাদ পাওয়া যায় যে, কয়েকজন অস্ত্রধারী দুষ্কৃতিকারী চাঁনপুরস্থ গোমতী নদীর বেড়িবাঁধে অবস্থান করছে।জানা যায়, অস্ত্রধারীদের আইনের
আওতায় আনার জন্য থানা ও ডিবি পুলিশের একাধিক অভিযান পরিচালনা শুরু করে। রাত ১টা ১৫ মিনিটি সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছুড়তে থাকে। ডিবি ও থানা পুলিশের সদস্যরা নিজেদের জীবন ও জানমাল রক্ষার্থে পাল্টা গুলি বর্ষণ করে। উভয়পক্ষের মধ্যে
গোলাগুলির একপর্যায়ে কয়েকজন দুষ্কৃতিকারী পালিয়ে যায়। গুলিবর্ষণ শেষে ঘটনাস্থলে একব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ ও হাতে আগ্নেয়াস্ত্রসহ থাকতে দেখা যায়। স্থানীয়রা তাকে শাহআলম বলে শনাক্ত করে। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে
চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরিমল দাস আরও জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশের দুইজন সদস্য আহত হন। আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার জন্য পুলিশ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত একটি ৭.৬৫ পিস্তল, গুলির এবং কার্তুজের খোসা উদ্ধার করা হয়। পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।