একের পর এক কৌশল করেও নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থান ধরে রাখতে পারছে না বিএনপি। এজন্য নাটকীয় পরিবর্তন এনে কৌশলগতভাবে দল পরিচালনার নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লন্ডনে পলাতক দলটির
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।জানা গেছে, সব কৌশল ব্যর্থ হওয়ার পর তারেক রহমানের নতুন সিদ্ধান্তের প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে দলটির স্থায়ী কমিটিকে সক্রিয় করা হচ্ছে। এমনকি বদলে দেওয়া হয়েছে
দলের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের বৈঠকের কৌশলও।বৈঠকের আগে-পরে এজেন্ডা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে কমিটির প্রত্যেক সদস্যের কাছে। এ এজেন্ডা তৈরিতে দলের হাইকমান্ডের সরাসরি তত্ত্বাবধানে কাজ করছে দলীয়
গবেষণা সেল বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ সেন্টার (বিএনআরসি)। এছাড়া গবেষণা সেলটির কার্যক্রমও বিস্তৃত করা হয়েছে। তবে এ গবেষণা সেল ও তারেক রহমানের উদ্যোগ নিয়ে দলীয় শীর্ষ অনেক নেতার
দ্বিমত রয়েছে।নেতারা বলছেন, দলীয় কৌশল পরিবর্তন করে তথ্যপাচার রোধ সম্ভব হবে না। বরং তথ্য পাচারকারীদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া দরকার। গবেষণা সেল ও বৈঠকের আগে-পরে
এজেন্ডা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা ভালো, তবে তা বিশেষ ফলপ্রসূ হবে না।এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম এক সদস্য বলেন, আপনি কতটুকু কাজ করলেন আর না করলেন, তার একটা হিসাব
থাকা দরকার। এজন্য একটি গবেষণা সেল থাকা দরকার। তবে এ দিয়ে বিশেষ কোনো লাভ হয় না। গবেষণা সেলের তথ্য যে বাইরে যাবে না তার নিশ্চয়তা কী? ফলে দরকার কঠোর তদারকি।দলীয় সিদ্ধান্তের পরিবর্তন
বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন স্থায়ী কমিটির বৈঠকের আগে আলোচ্য বিষয়ের এজেন্ডা আগে থেকে লিখিত দেওয়া হয়, যা আগে দেওয়া হতো না। যেকোনো পরিবর্তনই সুফল বয়ে আনতে পারে, তবে তা যথার্থ হতে হয়। এখন নতুন কৌশলের যথাযথ বাস্তবায়ন ও বাধাগুলো শনাক্ত করতে হবে। নইলে আগের মতো কোনো কৌশলই কাজে আসবে না।