সমালোচনার মুখে উদ্বোধনের ১০ ঘণ্টার মধ্যেই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্টে নারী ও শিশুদের জন্য আলাদা জোন বাতিল করেছে স্থানীয় প্রশাসন।বুধবার রাত ১০টায় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ
বিজ্ঞপ্তিতে নারী ও শিশুদের জন্য বিশেষ সংরক্ষিত অঞ্চল বাতিলের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।গত সপ্তাহে কক্সবাজারে বেড়াতে গিয়ে একজন নারী অপহরণ ও ধর্ষণের শিকার হবার অভিযোগ ওঠার পর গত ২৫শে ডিসেম্বর কর্তৃপক্ষ এমন একটি সংরক্ষিত
জোন করার নির্দেশনা দিয়েছিল।সে প্রেক্ষাপটে বুধবার ২৯ ডিসেম্বর সৈকতের লাবনী পয়েন্টে ৬০০ ফুট দীর্ঘ ওই জোন উদ্বোধন করা হয়।বুধবার বিস্তৃত সৈকতের লাবণী পয়েন্টের বালিয়াড়ির অন্তত দেড়শ মিটার এলাকায় দুই পাশে সাইনবোর্ড ও গোলাপী
রঙের পতাকা লাগিয়ে চিহ্নিত করে ‘নারী ও শিশুদের’ সংরক্ষিত বিশেষ এলাকা ঘোষণা করে বলা হয়, এখানে শুধু নারী ও শিশুদের প্রবেশাধিকার থাকবে।বিশেষ এলাকার বিষয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জেলা প্রশাসক বলেন, বিভিন্ন সময়ে পর্যটকদের মধ্য
অনেকেই অনুরোধ করেছেন যে, নারী ও শিশু পর্যটকদের জন্য যারা ইচ্ছে পোষণ করবেন তাদের জন্য একটি এক্সক্লুসিভ জোন থাকলে ভালো হয়।সেটা বিবেচনায় বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সিদ্ধান্তের আলোকে একটি পৃথক এলাকা চিহ্নিত করে
নারী ও শিশুদের জন্য এক্সক্লুসিভ জোন করার উদ্যোগ নেয়। এক্সক্লুসিভ জোনে যাদের ইচ্ছা হবে যাবে, অন্য পর্যটকরা তাদের ইচ্ছেমত ঘুরবেন।তবে উদ্বোধনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দেখা গেল গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি
ভাইরাল হয়ে যায়। এমনকি অনেক বিশিষ্টজনও এর বিপক্ষে বলছেন।এরপর ওই বিরূপ মতামত দেখে জেলা প্রশাসন বসে সংরক্ষিত জোন করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। এ আগে ২০১৮ সালের ৪ জানুয়ারি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে নারীদের জন্য বিশেষ অঞ্চল চালু করা হয়েছিল। পরে সেটা বন্ধ হয়ে যায়।