1. atikurrahman0.ar@gmail.com : বিজয়ের বাংলা : বিজয়ের বাংলা
  2. Mijankhan298@gmail.com : Bijoyerbangla News : Bijoyerbangla News
  3. rabbimollik2002@gmail.com : Bijoyerbangla News : Bijoyerbangla News
  4. msthoney406@gmail.com : বিজয়ের বাংলা : বিজয়ের বাংলা
  5. abur9060@gmail.com : বিজয়ের বাংলা : বিজয়ের বাংলা
বিস্ফোরণ হয়, অথচ সচেতনতা বৃদ্ধি পায় না - ২৪ ঘন্টাই খবর

বিস্ফোরণ হয়, অথচ সচেতনতা বৃদ্ধি পায় না

  • আপডেট করা হয়েছে: বুধবার, ৮ মার্চ, ২০২৩
  • ১০৩ বার পঠিত

গেলো চার দিনের ব্যবধানে দুটি বড় ধরনের বিস্ফোরণ। আর এই বিস্ফোরণ পুরো দেশকেই নাড়া দিয়েছে। শুধু রাজধানীতেই নয় পুরো দেশেই গত কয়েকমাসে বেশ কিছু বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

এই বিস্ফোরণের ঘটনার বেশিরভাগের কারণ এসি ও প্রাকৃতিক বা রান্না করা গ্যাস থেকে। এত সব দুর্ঘটনায় গেলো কেয়ক সপ্তাহে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হলেও সচেতনতা বৃদ্ধি হয়নি কারো মধ্যে।

সোমবার সাইন্সল্যাবে শিরিন ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই তিন জনের মৃত্যু হয়। আহত হয় অন্তত ২০ জন। যাদের মধ্যে ৬ জন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন।

এদের মধ্যে তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এর সঙ্গে একজন আছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তারও চিকিৎসা চলছে। সাইন্সল্যাবে বিস্ফোরণ হওয়ার পর আহদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে সরকারি হাসপাতলে। চিকিৎসার সব খরচ বহন করছে সরকার।

একের পর এক এই ধরনের বিস্ফোরণ হওয়ার কারণে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মৃত্যুর সঙ্গে বাড়ছে না সচেতনতা। রাজধানীর বেশির ভাগ ভবন পুরাতন। গ্যাস লাইন ও এসির গ্যাসের কারণে এসব ভবন ক্রমেই ভয়ংকর হয়ে উঠছে। এই ভয়ঙ্কে অবস্থার মধ্যে রাজধানীর মানুষ বসবাস করছে। কিন্তু কারো মধ্যেই এই সেচতনতা নেই যে কি করতে হবে। পুরনো বাড়িগুলো বা এসিগুলোকে ব্যবহারের আগে এগুলোর মেরামত প্রয়োজন তা কেউ যানে না বা করেও না।

সোমবার শিরিন ভবনটিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় ঢাকা মহানগর পুলিশের বিশেষায়িত দল কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তদন্ত করে দেখেছে। সেখানে কোনো ধরনের বোমা বা স্প্রিন্টার বা বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি। একই দিনে সেনাবাহীনির একটি দল ভবনটি পরিদর্শন করে। তারাও কোনো ধরনের বিস্ফোরক পাননি। এই দুই তদন্ত দলই বলেছে এখানে কিছু পাওয়া যায়নি।

পুরান ঢাকার সব ভবনই ঝুঁকিপূর্ণ। এই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোতেই বসবাস করছেন। কেউ কেউ এসব ফ্ল্যাট কিনেও থাকছেন। ভবন নির্মাণ ও ভবনগুলোতে আগুন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা থাকার কথা থাকলেও তা নেই। পুরোনো ভবন হওয়ায় বাড়িগুলো ঠিকও করা যাচ্ছে না। এসব বাড়িতে গ্যাস জমে থাকে। এর পাশাপাশি এসির বিস্ফোরণও আছে। এসির বিস্ফোরণ ধীরে ধীরে বেড়েই চলেছে। এসব এসির বিস্ফোরণ নিয়ে হয় না কোনো তদন্ত। তদন্ত হলেও তার কোনো কার্যক্রম দেখা যায় না। তদন্ত প্রতিবেদনও মানুষের সামনে আনা হয় না।

পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ টিমের তথ্য বলছে, সায়েন্স ল্যাব মোড়ের ঘটনার সঙ্গে এখন পর্যন্ত তিনটি বিস্ফোরণের মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। ২০২১ সালের জুনে মগবাজার, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে নারায়ণগঞ্জের তল্লা এলাকার মসজিদ ও ২০১৮ সালের মার্চে ভালুকায় একটি ফ্ল্যাটে ঘটা বিস্ফোরণ। জমে থাকা গ্যাস থেকে এসব প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল।

স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, ঢাকাকে আমরা কিভাবে তৈরি করেছি তা আমরা নিজেরাই জানি না। একটু দুর্ঘটনা প্রবন শহরে পরিণত হয়েছে ঢাকা। এখানে একটি ভবনে দুর্ঘটনা ঘটলে পাশের ভবনও সম্পূর্ণ ক্ষতির মধ্যে পড়ে। বাড়ি বা মার্কেট তৈরি করার সময় আমরা ভবিষ্যতের কথা ভাবিনি। এখন সেই ভনবগুলো মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থা আরেকটি বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এসি। এসি বিস্ফোরণেও দুর্ঘটনা ঘটছে। তবে বেশি সমস্যা হচ্ছে পুরোনো ভবনগুলোতে গ্যাস জমে থাকা। সুয়ারেজ লাইনের মাধ্যমে গ্যাস ভবনে ছড়ায় সেখান থেকেই আগুন লাগে। আর এই আগুনে মৃত্যুর মিছিল বাড়ছেই। শুধু মাত্র আমাদের সচেতনতার অভাবে এই দুর্ঘটনাগুলো ঘটে চলেছে।

তিনি বলেন, এই দুর্ঘটনা দুটোর সঙ্গে মগবাজারের দুর্ঘটনার অনেক মিল আছে। তার মানে আমরা মগবাজারের ঘটনা থেকে কোনো ধরনের শিক্ষাই নিইনি। যদি তাই হতো তাহলে হয়তো এত বড় বড় দুইটি দুর্ঘটনা ঘটতো না। প্রতিটি ঘটনা থেকেই আমাদের শিক্ষা নেয়া প্রয়োজন আছে। কিন্তু আমরা কোনো ভাবেই শিক্ষা নিচ্ছি না। এখন যে ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে তা থেকে যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষা নিতে না পারি তাহলে ভবিষ্যতে আরো বড় ধরনের দুর্ঘটনা দেখতে হবে। তাই রাজধানীর পুরোনো বাসা ও মার্কেটের তালিকা করতে হবে। সেগুলোকে ভাঙতে না পারলেও বিস্ফোরণ থেকে রক্ষা করতে হবে।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন সোনালীনিউজকে বলেন, একের পর এক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। তবে আইন-শৃঙ্খলা বাহীনির সদস্যরা কিন্তু পুরো বিষয়টি দেখেছে। কোথাও কোনো ধরনের নাসকাতার কিছু পাইনি। তারপরও র‌্যাব একটি চৌকশ দল। তারা সব দিকেই খেয়াল রাখে। যদি এমন কিছু পাই তবে আমরা সেখানে অবশ্যই তদন্ত করবো।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন সোনালীনিউজকে বলেন, দেশের মানুষের আরো সচেতন হওয়া প্রয়োজন। বিভিন্ন ভাবে আগুনের ঘটনা ঘটছে। কিন্তু আমরা সচেতন হতে পারছি না। আমদের সচেতনতা খুব প্রয়োজন। প্রতিটি পুরোন বাড়ির ক্ষেত্রে আরো সচেতন হওয়া দরকার। পুরোনো ভবনগুলোতে বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনা ঘটে। কিন্তু ভাড়া যারা নেন তারাও কিছু জানান না আর ভবন মালিকরাও কিছু জানান না। এই কারণে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। যাতে করে বড় ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে সেজন্যই সাবইকে ফায়ার সেফটি বিষয়ে জানতে আমরা অনুরোধ করি।

তিনি আরো বলেন, এই অবস্থায় বাসাগুলোতে এসি নিয়েও ঝামেলা সৃষ্টি হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে এসি বিস্ফোরণের ঘটনাও অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই এসিও ঠিক ভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা জরুরী।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর পড়ুন
© All rights reserved 2022
Site Developed By Bijoyerbangla.com