বিজয়ের বাংলা: দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে যাত্রীদের স’ন্তুষ্টির ভিত্তিতে বিশ্বের সেরা বিমানবন্দরগুলোর তালিকা প্রকাশ করে আসছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান স্কাইট্র্যাক্স। সম্প্রতি তারা প্রকাশ করেছে ২০২১ সালে সেরা বিমানবন্দরগুলোর তালিকা। এতে বরাবরের মতোই প্রধান্য ধরে রেখেছে এশিয়া ও ইউরোপ। বিশ্বসেরার এ তালিকায় ভারতের বিমানবন্দর রয়েছে অন্তত চারটি, নাম এসেছে ভুটানেরও। তবে সেরা একশতে জায়গা হয়নি বাংলাদেশের কোনো বিমানবন্দরের। এমনকি এশিয়া ও দক্ষিণ/মধ্য এশিয়ার সেরা ১০ বিমানবন্দরের মধ্যেও নাম নেই বাংলাদেশের।
জানা যায়, ১৯৯৯ সাল থেকে যাত্রীদের পছ’ন্দের ভি’ত্তিতে বিশ্বের সেরা বিমানবন্দরগুলোর তালিকা প্রকাশ করে আসছে স্কাইট্র্যাক্স। ক’রো’নাভা’ইরা’স ম’হামা’রির কারণে আন্তর্জাতিক উড়োজাহাজ চলাচলে সংক’ট সত্ত্বেও গত আগস্টে ২২তম তালিকা প্রকাশ করেছে তারা। স্কাইট্র্যাক্সের বিশেষজ্ঞ ভ্রমণকারীরা বেশ কিছু বিষয়ের ভিত্তিতে বিশ্বের পাঁচ শতাধিক বিমানবন্দরকে মূল্যায়ন করেছেন। এর মধ্যে চেক-ইন, ইমিগ্রেশন, নিরাপ’ত্তা, পরি’চ্ছন্নতা, টার্মিনালের পরিবেশ স্বাচ্ছন্দ্য, বার-রেস্তোরাঁ, কেনাকাটাসহ বিমানবন্দরের নানা সুযাগ-সুবিধা বিবেচনা করা হয়েছে। এবারের জরিপে ক’রো’নাভা’ইরা’স সম্প’র্কিত একটি বিভাগও অন্তর্ভু’ক্ত করা হয়।
স্কাইট্র্যাক্সের ২০২১ সালের র্যাংকিংয়ে শীর্ষস্থান দখল করেছে কাতারের রাজধানী দোহার হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। সেক্ষেত্রে এটি পেছনে ফেলেছে টানা আট বছর সেরার মুকুট ধরে রাখা সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরকে। তালিকার বিশ্বসেরা ১০ বিমানবন্দরের সাতটিই এশিয়ায় অব’স্থিত, এর মধ্যে আবার তিনটিই জাপানের। গত বছর সেরা দশে ইউরোপের দুটি বিমানবন্দর থাকলেও এবার তারা জায়গা করে নিয়েছে তিনটি।
তালিকা অনুসারে বিশ্বসেরা ১০ বিমানবন্দর হচ্ছে যথাক্রমে দোহার হামাদ বিমানবন্দর, টোকিওর হানেদা বিমানবন্দর, সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দর, সিউলের ইনচেন বিমানবন্দর, টোকিওর নারিতা বিমানবন্দর, মিউনিখ বিমানবন্দর, জুরিখ বিমানবন্দর, লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর, কানসাই বিমানবন্দর ও হংকং বিমানবন্দর। বিশ্বসেরাদের তালিকায় ভারতের দিল্লি বিমানবন্দর রয়েছে ৪৫ নম্বরে। এছাড়া দেশটির হায়দ্রাবাদ, মুম্বাই ও ব্যাঙ্গালুরু বিমানবন্দর রয়েছে যথাক্রমে ৬৪, ৬৫ ও ৭১ নম্বরে।
২০২১ সালে এশিয়ার সেরা ১০ বিমানবন্দর নির্বাচিত হয়েছে টোকিওর হানেদা, সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি, সিউলের ইনচেন, টোকিওর নারিতা, কানসাই, হংকং, সেন্ট্রেয়ার নাগোয়া, গুয়াংঝু, সাংহাইয়ের হংকিয়াও এবং ফুকুওকা বিমানবন্দর। মধ্য/দক্ষিণ এশিয়ার সেরা বিমানবন্দরগুলোর মধ্যে রয়েছে দিল্লি, হায়দ্রাবাদ, মুম্বাই, ব্যাঙ্গালুরু, চেন্নাই, কলম্বো, কলকাতা, পারো, করাচি ও গোয়া বিমানবন্দর। অর্থাৎ এ তালিকায় ভারতের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কা, ভুটান ও পাকিস্তানের বিমানবন্দর থাকলেও নেই বাংলাদেশের।
স্কাইট্র্যাক্সের হিসাবে, চীনের সেরা ১০ বিমানব’ন্দর হচ্ছে যথাক্রমে গুয়াংঝু, সাংহাইয়ের হংকিয়াও, হাইকো মেইলান, জি’য়ান, শেনঝেন, চেংদু শুয়াংলিউ, চাংশা, সানিয়া ফিনিক্স, বেইজিংয়ের ক্যাপিটাল ও দাক্সিং বিমানবন্দর। মধ্যপ্রাচ্যের সেরা ১০ বিমানবন্দর বলা হয়েছে যথাক্রমে দোহার হামাদ বিমানবন্দর, দুবাই, জেদ্দা, মাস্কট, রিয়াদ, মদিনা, আবুধাবি, বাহরাইন, দাম্মাম ও সালালাহ বিমানবন্দরকে।
ইউরোপের সেরা বিমানবন্দরগুলো হচ্ছে মিউনিখ, জুরিখ, লন্ডনের হিথ্রো, আমস্টারডামের শিফল, হেলসিংকি, প্যারিসের চার্লস ডি গলে, ফ্রাঙ্কফুর্ট, ইস্তাম্বুল, কোপেনহেগেন ও মাদ্রিদ বারাজাস বিমানবন্দর। উত্তর আমেরিকার সেরা ১০ বিমানবন্দর হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ভ্যাঙ্কুভার, হিউস্টনের জর্জ বুশ বিমানবন্দর, টরন্টো পিয়ারসন, সিনসিনাটি, ডেনভার, আটলান্টা, হিউস্টনের হবি, সিয়াটল-টাকোমা, সানফ্র্যান্সিসকো ও মন্ট্রিল বিমানবন্দর। সূত্র: স্কাইট্র্যাক্স, বিজনেস ইনসাইডার।