ওয়ানডেতে দুটি দেশের হয়ে শতক আছে এড জয়েস ও এউইন মরগ্যানের। ডাবলিনে জন্ম নেওয়া জয়েসের ২০০৬ সালে ইংল্যান্ডের হয়ে জন্মভূমি আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে
ওয়ানডে অভিষেক। পরের বছর সিডনিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তুলে নেন প্রথম ওয়ানডে শতক, সেটি ইংল্যান্ডের হয়ে। ২০০৭ সালে এপ্রিলে শতক পাওয়ার প্রায় চার বছরের মধ্যে আর
ওয়ানডে খেলেননি এ ব্যাটসম্যান। ২০১১ সালে আইসিসির বিশেষ ছাড় নিয়ে আয়ারল্যান্ডের জার্সিতে খেলা শুরু করেন। ২০১১ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে
আয়ারল্যান্ডের হয়ে তার ওয়ানডে অভিষেক। দুই বছর পর (২০১৩) ডাবলিনে পাকিস্তানের বিপক্ষে দেখা পান আয়ারল্যান্ডের হয়ে প্রথম শতকের। যদিও ওয়ানডেতে
দুটি দেশের হয়ে শতক পাওয়া প্রথম ব্যাটসম্যান মরগ্যান। এড জয়েস দ্বিতীয়। আর এই তালিকায় কাল তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে নাম লেখালেন নিউজিল্যান্ডের অলরাউন্ডার মার্ক চাপম্যান। স্কটল্যান্ড সফরে
এডিনবার্গে কাল স্বাগতিকদের বিপক্ষে একমাত্র ওয়ানডেতে ৭ উইকেটে জিতেছে নিউজিল্যান্ড। আগে ব্যাট করে ৪৯.৪ ওভারে ৩০৬ রানে অলআউট হয় স্কটল্যান্ড। মাইকেল লিয়াস্কের ব্যাট থেকে এসেছে ৮৫ রান।
তাড়া করতে নেমে চাপম্যানের অপরাজিত ১০১ রানে ৭ উইকেটের জয় তুলে নেয় কিউইরা। এর মধ্য দিয়ে ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের বাইরে ওয়ানডেতে আলাদা দুটি দেশের হয়ে শতক পাওয়া
প্রথম ব্যাটসম্যানও হলেন চাপম্যান। মার্ক সিনক্লেয়ার চাপম্যানের জন্ম হংকংয়ে। ২০১৫ সালে আইসিসি ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট লিগ চ্যাম্পিয়নশিপে হংকংয়ের হয়ে অভিষেক চাপম্যানের। ওয়ানডে সংস্করণের সেই অভিষেক ম্যাচেই
অপরাজিত ১২৪ রানের ইনিংস খেলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। এই ম্যাচের আগে নিউজিল্যান্ডে একটি পরীক্ষা ছিল চাপম্যানের। পরীক্ষা দিয়ে বিমানের প্রায় ২০ ঘণ্টার পথ পাড়ি দিয়ে দুবাইয়ে এসে শতকটি তুলে নিয়েছিলেন
চাপম্যান। মা হংকংয়ের এবং বাবা নিউজিল্যান্ডের নাগরিক হওয়ায় দুই দেশেরই নাগরিকত্ব পেয়ে যান চাপম্যান। ২০১৫ সাল থেকেই খেলেছেন নিউজিল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে। অকল্যান্ড
দলে খেলায় ২০১৮ বিশ্বকাপ ক্রিকেট বাছাইপর্বে চাপম্যানকে ছাড়াই দল গঠন করে হংকং। সে বছরই ফেব্রুয়ারিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি দলে ডাক পান
চাপম্যান এবং অভিষেকও হয়। বাদ থাকেনি ওয়ানডে অভিষেকও। নিউজিল্যান্ডের হয়ে চারটি ওয়ানডে খেলার পর কাল পঞ্চম ম্যাচে এসে শতকের দেখা পেলেন চাপম্যান।