তারুণ্যের রক্তের নাচনে, কাঁপবে আফ্রিকা। সাহসী ক্রিকেটে নতুন ব্র্যান্ড অব ক্রিকেট খেলবে টিম বাংলাদেশ। দেশ ছাড়ার আগে এভাবেই নিজেদের জাহির করেছিল লাল-সবুজের
টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু বাস্তবতা কতটা কঠিন, তা বুঝতে সময় লাগেনি বাংলাদেশের। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজেদের অবস্থান কতটা নাজুক, তা এবার হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন
বাংলাদেশকে লজ্জায় ফেলে প্রথমবারের মতো টিম টাইগার্সের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নিয়েছে জিম্বাবুয়ে। শুধু বাংলাদেশই নয়, নিজেদের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো টেস্ট খেলুড়ে দলের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল
জিম্বাবুয়ে। এদিকে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এমন ভরাডুবির পর চারদিকে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বাদ যাননি সাবেক ক্রিকেটাররাও। বাংলাদেশের সাবেক স্পিনার মোহাম্মদ রফিক সময় সংবাদকে
এক সাক্ষাৎকারে বলেন, বাংলাদেশ যেভাবে খেলেছে, শুধু দেশের মানুষ নয়, বিশ্বের সবাই অবাক হয়েছে। বাংলাদেশ এখন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও সিরিজ হারে। এটা খুবই দুঃখের বিষয়। আফসোসের
সুরেই তিনি বলেন, ক্রিকেটে বাংলাদেশ এখন কোন অবস্থানে আছে এটা বলা মুশকিল। সামনেই বিশ্বকাপ, তার আগে যেভাবে প্রতি ম্যাচেই ক্রিকেটার রদবদল হচ্ছে
এটা চিন্তার বিষয়। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ব্যর্থতা প্রসঙ্গে রফিক বলেন, ‘আমার মনে হয়, বাংলাদেশ জিম্বাবুয়েকে খুব হালকাভাবে নিয়েছে। তারা মনে করেছে, যেকোনো একটা দল পাঠালেই তো দল জিতে যাবে। কিন্তু এখন প্রমাণ হয়ে
গেল পচা শামুকে পা কাটে।’ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ক্রিকেট কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা নিয়েও সন্দিহান এ কিংবদন্তি। তিনি বলেন, ক্রিকেটবিশ্বে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের অবস্থান নিয়ে বলা মুশকিল। বারবার অধিনায়কত্বে পরিবর্তন
নিয়ে তিনি বলেন, এভাবে ক্যাপ্টেন বদলাতে থাকলে একটা সময় পর ক্যাপ্টেনও খুঁজে পাবেন না, খেলোয়াড়ও খুঁজে পাবেন না। দু-তিন বছরের জন্য একজনকে অধিনায়কত্বের
দায়িত্ব দিতে হবে। তাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে। তাহলে দেখবেন, দলকেও অনেক কিছু দিতে পারবে আর নিজেও ভালো করবে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই ধাক্কাটাকে শিক্ষা
হিসেবে নেয়া উচিত বলেও মনে করেন রফিক। তিনি বলেন, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই সিরিজটাকে শিক্ষা হিসেবে নিয়ে এখন থেকেই ভাবনাচিন্তা করা উচিত।