দীর্ঘ ২৮ বছর পর ফিনালিসিমা নাম নিয়ে ‘আর্তেমিও ফ্রাঞ্চি ট্রফি’ ফিরেছে মাঠে। গেল জুন মাসে ইতালিকে হারিয়ে এই শিরোপা জিতেছে আর্জেন্টিনা। এবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের সামনেও
চলে এসেছে ফিনালিসিমা জেতার সুযোগ। কোপা আমেরিকা ফেমেনিনায় নেইমারের দেশের মেয়েরা রেকর্ড অষ্টম বারের মতো শিরোপা জিতেছে গেল রোববার। দক্ষিণ আমেরিকার নারী ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে
সেলেসাওরা ১-০ গোলে হারিয়েছে কলম্বিয়াকে। প্রথমার্ধের দেবিনহার নেওয়া পেনাল্টি থেকে গোল পায় ব্রাজিল, সেই গোলটাই গড়ে দেয় ম্যাচের ভাগ্য। টানা চতুর্থবারের মতো শিরোপার স্বাদ
পায় দলটি। সেই রাতেই ইউরোপের বুকে হয়ে গেছে নারী ইউরোর ফাইনালও। সেই ফাইনালের রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে জার্মানিকে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। ম্যাচের ৬২ মিনিটে এলা টুনের গোলে এগিয়ে যায়
ইংলিশরা, এরপর ৭৯ মিনিটে লিনা মাগুলের গোলে সমতা ফেরায় জার্মানরা। এরপর ১১০ মিনিটে জার্মানদের হৃদয় ভেঙে ক্লোয়ি কেলি করেন ইংল্যান্ডকে শিরোপা জেতানো গোলটা। এই জয়ের
ফলে ১৯৬৬ সালের পর পুরুষ-নারী মিলিয়ে প্রথম বড় কোনো শিরোপা ঘরে তোলে ইংলিশরা। আর নারী ফুটবলে এটাই ইংল্যান্ডের জেতা বড় কোনো শিরোপা। এই জয়ের পরই ঠিক
হয়ে গেছে নারী ফিনালিসিমার দুই দল। যেখানে দক্ষিণ আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল মুখোমুখি হবে ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের। পুরুষদের ফিনালিসিমাতেই
মুখোমুখি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল দুই দলের। গেল বছর কোপা আর ইউরোর ফাইনালে যে বিজিত দলের নাম দুটো ছিল ব্রাজিল আর ইংল্যান্ড! তাদের হারিয়েই আর্জেন্টিনা-ইতালি জিতেছিল
যথাক্রমে কোপা আর ইউরোর শিরোপা। ইউরোপীয় সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, নারী ফিনালিসিমার এই ম্যাচটা হবে ইউরোপের মাটিতে, পুরুষদের ফিনালিসিমার মতোই। যদিও উয়েফা এই ম্যাচের দিনক্ষণ কিংবা ভেন্যু
জানায়নি এখনো। দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা কনমেবলের সঙ্গে আলোচনা করে এরপরই সময় আর ভেন্যুর ঘোষণা দেবে উয়েফা। এর আগে পুরুষদের
ফিনালিসিমার লড়াইয়ে লিওনেল মেসির নৈপুণ্যে আর্জেন্টিনা ৩-০ গোলে হারায় ইতালিকে। ইউরোপের ওপর দক্ষিণ আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার সুযোগটা এবার ব্রাজিলের সামনে।