হবিগঞ্জের নবীগঞ্জের বাগাউড়া গ্রামের ১৭ বছরের কিশোরী জবা হত্যার দায়ে দুই ঘাতককে গ্রেফতার করেছে হবিগঞ্জ পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিকেশন (পিবিআই)। গত সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে নবীগঞ্জের বাগাউড়া গ্রামের সুফি মিয়া’র মেয়ে জবা
আক্তারকে (১৭) হত্যা করে ধান ক্ষেতে ফেলে চলে যায় ঘাতকরা। বৃহস্পতিবার রাতে আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন হত্যা মামলার আসামি খলিল উদ্দিন (২০)।আসামির স্বীকারোক্তির উদ্ধৃতি দিয়ে পিবিআই জানায়, নবীগঞ্জ
উপজেলার খলিল উদ্দিনের সঙ্গে একই উপজেলার এক কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কে গড়ায়। গত ২৭ ডিসেম্বর রাতে খলিল ওই কিশোরীর সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় খলিল তার বন্ধু গোলাম হোসেনকেও
তার সঙ্গে সেখানে নিয়ে যান। গোলাম হোসেন আড়ালে লুকিয়ে ছিলেন। খলিল ও ওই কিশোরী শারীরিক সম্পর্কে জড়ান। এরপর লুকিয়ে থাকা গোলাম হোসেন ওই কিশোরীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন চাইলে তার সঙ্গে ওই কিশোরীর কথা-
কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে খলিলও তার বন্ধু গোলাম হোসেনের পক্ষ নেন। খলিল ও গেলাম হোসেনের প্রস্তাব মেনে না নেওয়ায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। খলিলের সহযোগিতায় গোলাম হোসেন ওই কিশোরীর ওড়না দিয়ে হাত বেঁধে ফেলে। এরপর জবাকে ব্লেড
দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে।তারা আরো জানান, ঘটনার পরদিন ২৮ ডিসেম্বর বেলা ১১টার দিকে নবীগঞ্জ থানার পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। ওই দিনই নিহত কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। পুলিশের পাশাপাশি পিবিআইও তদন্ত শুরু
করে।পিবিআই পরিদর্শক মোক্তাদির হোসেন বলেন, অবশেষে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গত বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে খলিল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার খলিলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গোলাম হোসেনকেও গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যায় ব্যবহৃত ব্লেড, ওড়নাসহ অন্যান্য আলামত।