স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশের প্রতিটি নাগরিকের একটি ‘হেলথ কার্ড’ থাকবে। এরইমধ্যে এমন পরিকল্পনা পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। ভেজাল চিকিৎসা কিংবা ভেজাল ওষুধ তৈরি না হয়, আমরা সেদিকে জোর দিচ্ছি। মানুষকে চিকিৎসা নিতে গ্রাম থেকে ঢাকায় আসতে হবে না। সে অনুসারে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যমকেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপ’-এ অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান একেবারেই ওয়ার্ড পর্যায়ে পৌঁছেছে। কমিউনিটি ক্লিনিক আগে তিন রুমের ছিল, সেটা এখন চার রুমের করা হয়েছে। আর ৩২টি ওষুধের পাশাপাশি শিশুদের জন্য ইনসুলিন রাখা হচ্ছে।
উপজেলা হাসপাতালগুলো ৫০ থেকে ১০০ শয্যা করা হয়েছে। জাতীয় ক্যানসার হাসপাতালের শয্যা দেড়শ থেকে বাড়িয়ে ৩০০ করা হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের শয্যা ৫০০ ছিল, এখন বাড়িয়ে এক হাজার করা হয়েছে৷
মন্ত্রী বলেন, ঢাকায় পাঁচ হাজার শয্যার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। করোনা মহামারির মধ্যেও ১৫ হাজার চিকিৎসক ও ২০ হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া হোমিওপ্যাথিসহ বিকল্প চিকিৎসা ব্যবস্থায়ও জোর দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন হাসপাতালের মানের ওপর ভিত্তি করে তার ক্যাটাগরি নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। হাসপাতালের মান বাড়াতে অ্যাক্রিডেশন আইন করা হচ্ছে। সরকারি হাসপাতালও এ আইনের আওতায় থাকবে, যাতে হাসপাতালগুলো জানতে পারে, তাদের মান কেমন।
সংলাপে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে বিএসআরএফ-এর সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক-সহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।