বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বক্তব্যের জন্য ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকির ব্যাখ্যা চাইবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, বিদেশি কূটনীতিকরা শিষ্টাচার লঙ্ঘন করলে সরকার কঠোর হবে।
এর আগে, গত সোমবার (১৪ নভেম্বর) রাজধানীতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের নির্বাচন, ভোটগ্রহণ ও ভোট জালিয়াতির প্রসঙ্গে বিভিন্ন মন্তব্য করেন ইতো নাওকি।
জাপানি রাষ্ট্রদূতের এসব বক্তব্যের বিষয়ে সরকারের অবস্থান সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত নির্বাচনের ভোট নিয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূত যে মন্তব্য দিয়েছেন তার ব্যাখ্যা চাওয়া হবে। তিনি কেন এ ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন তা জানতে চাইবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কূটনীতিকরা শিষ্টাচারবহির্ভূত কোনো কাজ করলে সে বিষয়ে কঠোর হবে সরকার।
মিট দ্য অ্যাম্বাসেডর অনুষ্ঠানে ইতো নাওকি বলেন, বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হতে দেখতে চায় জাপান। সেই সঙ্গে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণও প্রত্যাশা করে দেশটি।
জাপানি রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, নির্বাচন নিয়ে বৈশ্বিকভাবে জাপানের মতামতের একটা গুরুত্ব রয়েছে। এর আগে আমরা নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভরে রাখার কথা শুনেছি, যা পৃথিবীর অন্য কোথাও শুনিনি। আমি আশা করব এবার তেমন সুযোগ থাকবে না বা এমন ঘটনা ঘটবে না। আমরা একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাশা করি।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন জাপান সফর নিয়ে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে গতকাল বৈঠক করেছেন জাপানের রাষ্ট্রদূত। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে ইতো নাওকির নির্বাচন ইস্যুতে খোলামেলা মন্তব্য নিয়ে ঢাকার পক্ষ থেকে কোনো বার্তা দেওয়া হয়নি বলে সংশ্লিষ্ট কূটনৈতিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।